সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মৃত্যুর একবছর বাদেও জলললিতাকে নিয়ে সরগরম দাক্ষিণাত্যের রাজনীতি। ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে জললিতার মৃত্যুরহস্য। সৌজন্যে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো টিটিভি দিনাকরণের ক্যাম্পের প্রকাশ করা চাঞ্চল্যকর ভিডিও। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জয়ললিতার ভিডিও। যেখানে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দিব্যি হাসপাতালের বেডে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে।
সৌজন্যে – ইয়ো ইয়ো টিভি
[আধার লিঙ্কের নামে প্রতারণার শিকার এবার খোদ সাংসদ]
৫ ডিসেম্বর, ২০১৬। প্রায় এক মাসের চিকিৎসার পর মৃত্যু হয়েছিল জয়ললিতার। তাঁর মৃত্যু স্বাভাবিক কি না, তা নিয়ে অনেক আগেই প্রশ্ন উঠেছিল। এমনকী ষড়যন্ত্রের তত্ত্বও সামনে এনেছিলেন কেউ কেউ। জয়ার মরদেহ কবর থেকে তুলে তদন্তর দাবি উঠছিল। লক্ষ লক্ষ রাজ্যবাসীর এই নিয়ে যাবতীয় ধোঁয়াশা, কৌতূহলের জবাবে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী পালানিস্বামী। অভিযোগ ছিল, জয়ললিতার মৃত্যুর সময় অ্যাপোলো হাসপাতালে দলের কাউকে ঘেঁষতে দেননি শশীকলা। অসুস্থতা পর্ব থেকে শেষকৃত্য পর্যন্ত গোটা বিষয়টি কার্যত হাইজ্যাক করেছিলেন জয়ললিতার বান্ধবী। জয়ার প্রয়াণের পর পন্নিরসেলভম বা ওপিএস মুখ্যমন্ত্রী থাকলেও তাঁকে সরিয়ে দিয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার অভিযোগ উঠেছিল শশীকলার বিরুদ্ধে। অনেকে আবার এও দাবি করেছিলেন হাসপাতালে ভর্তি করার সময়ই মৃত্যু হয়েছিল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে যখন হাসপাতালে আনা হয়েছিল অচেতন অবস্থায় ছিলেন তিনি। তবে এ ভিডিও তেমন দৃশ্য দেখাচ্ছে না।
[ঋতুমতী হলেই ভক্তের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক, ফের কাঠগড়ায় স্বঘোষিত ধর্মগুরু]
ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কমিশন তৈরি করেছে তামিলনাড়ু সরকার। তবে আগেই দিনাকরণ দাবি করেছিলেন, হাসপাতালে জয়ললিতা জীবিত থাকার ভিডিও তাঁর কাছে রয়েছে। তবে তা তিনি প্রকাশ্যে আনতে চান না। কারণ হাসপাতালের পোশাকে মানুষ তাঁকে দেখুক, এটা চাইতেন না আম্মা। এতে তারকা হিসেবে তাঁর মহিমা ক্ষুণ্ণ হত। তাহলে এখন এ ভিডিও প্রকাশ্যে কেন? বৃহস্পতিবারই আরকে নগর কেন্দ্রের উপ-নির্বাচন। যে আসনটি আমৃত্যু জয়ললিতারই ছিল। পিসিমার আসনের জন্য লড়ছেন দিনাকরণও। তাই এ ভিডিও উপ-নির্বাচনের ঠিক আগে প্রকাশ করে নাকি ভোটারদের সমবেদনা আদায় করার চেষ্টা করছেন তিনি। একইসঙ্গে নিজেকে আম্মার উত্তরসূরি প্রতিপন্ন করার চেষ্টাও করছেন বলে মনে করছেন অনেকে। প্রসঙ্গত, জেলে যাওয়ার আগে এই দিনাকরণকেই দলের দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছিলেন শশীকলা। আর ঘনিষ্ঠ পালানিস্বামীকে বসিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রীর আসনে৷ নির্বাচন কমিশনকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ ছিল শশীকলার ভাইপোর বিরুদ্ধে৷ যার জেরে শশীকলা ব্রিগেডকে কোণঠাসা করতে অনেকটাই সক্ষম হয়েছিলেন পন্নিরসেলভম৷ শোনা যাচ্ছে, শশীকলাই নাকি এ ভিডিওটি নিজের ফোনে তুলে রেখেছিলেন৷
[‘মোদি বৃদ্ধ হয়েছেন, ওঁর এবার রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়া উচিত’]
The post জয়ললিতার মৃত্যু ঘিরে ফের বিতর্ক, ফাঁস হওয়া ভিডিওতে ঘনাল রহস্য appeared first on Sangbad Pratidin.