সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডিভিশন ভোটে জিতে এক দেশ এক ভোট বিল লোকসভায় পেশ করল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। অর্থাৎ প্রাথমিক লড়াইয়ে জয় কেন্দ্রের। কিন্তু বিরোধীরা নিশ্চিত, বিল পেশ হলেও পাশ হবে না। কারণ এই ধরনের সংবিধান সংশোধনী পাশ করাতে হলে লোকসভা এবং রাজ্যসভা দুই কক্ষেই দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন হয়, যা কেন্দ্রের হাতে নেই।
এক দেশ এক ভোট বিল সংসদে পেশেই আপত্তি ছিল বিরোধীদের। বিলটি পেশের জন্য ডিভিশন ভোটের প্রয়োজন পড়ে। সেই ডিভিশন ভোটে অনায়াসেই জিতেছে কেন্দ্র। বিল পেশের পক্ষে ভোট পড়ে ২৬৯টি, বিপক্ষে ১৯৮টি। যা মোদি সরকার নিজেদের প্রাথমিক জয় হিসাবে দেখছে। তবে কংগ্রেস নেতা শশী থারুর মনে করছেন, এতে কেন্দ্রের উচ্ছ্বাসের কোনও কারণ নেই। এই বিল সংসদে পেশ হলেও পাশ হবে না। কারণ এই ধরনের বিল পাশে সংবিধান সংশোধনীর প্রয়োজন হয়।
শশী থারুর বলেন, "ডিভিশনে সরকারের পক্ষে বিরোধীদের থেকে বেশি ভোট পড়বে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু তাঁদের বিল আইনে পরিণত করতে গেলে যে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দরকার। সেটা সরকারের নেই তা একেবারে স্পষ্ট। এটা মাথায় রাখতে হবে। এই বিল নিয়ে আর এগোনোর কোনও মানে হয় না।" কংগ্রেসের দাবি, মঙ্গলবার ৪৬১ জন সাংসদ ভোটাভুটিতে অংশ নেন। সেই হিসাবে এই বিলের সমর্থনে ৩০৭টি ভোট পড়লে তবেই দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা হয়। কিন্তু সরকার পক্ষে ভোট পড়েছে মাত্র ২৬৯টি। এতেই স্পষ্ট সরকারের হাতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই।
বস্তুত, এই মুহূর্তে এনডিএর হাতে রাজ্যসভা, লোকসভা দুই কক্ষেই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। কিন্তু কোনও কক্ষেই দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। সেকারণেই বিরোধী শিবির মোটামুটি নিশ্চিত, কোনওভাবেই সংসদের বাধা পেরোতে পারবে না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্নের এক দেশ এক ভোট প্রকল্প।