সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এমনিতে ধর্মে একেবারেই মতি নেই বামেদের! কিন্তু ভোট বড় বালাই। জনসংযোগের মাধ্যম হিসাবে ধর্মস্থানের বিকল্প হতে পারে না। তাই কেরলে জনসংযোগের জন্য সরাসরি মন্দির চত্বরকেই ব্যবহার করছে সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই। আর তাই নিয়েই যাবতীয় বিতর্ক।
অভিযোগ, কেরলের কোল্লাম জেলায় কাডাক্কাল মন্দিরের এক অনুষ্ঠানে সম্প্রতি ডিওয়াইএফআইয়ের পতাকা ওড়ানো হয়। একেবারে মন্দির চত্বর ছেয়ে ফেলা হয় সিপিএমের যুব সংগঠনের পতাকায়। এমনকী মন্দিরে পুজো চলাকালীন বাজানো হয় সিপিএম এবং বামমনস্ক গান। নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। মন্দিরের ট্রাস্টি ত্রিভাঙ্কুর দেবস্বম বোর্ড পুরো ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
ত্রিভাঙ্কুর দেবস্বম বোর্ডের সভাপতি পিএস প্রশান্ত বলছেন, "মন্দির চত্বরে রাজনৈতিক পতাকা কিংবা প্রতীক প্রদর্শন আদালত কর্তৃক কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা সমস্ত উপাসনালয়ে সেই নিয়ে নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও কারা এভাবে মন্দির চত্বরে রাজনৈতিক দলের পতাকা লাগালো সেটা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। রিপোর্ট এলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
এই ইস্যুতে সরব রাজনৈতিক দলগুলিও। কংগ্রেস নেতা ভিডি সতীসনের প্রশ্ন, "পতাকা লাগানোর কী আর জায়গা নেই। উপাসনাস্থলে কেন? বামেরা এভাবে সংঘাতের পরিবেশ তৈরি করে কেরলে আরএসএসকে জায়গা করে দিতে চাইছে।" বামেদের কটাক্ষ করেছে বিজেপিও। গেরুয়া শিবিরের বক্তব্য, এমনিতে তো ওরা ধর্মকর্ম মানে না। এখন তো ওদেরও মন্দিরে আশ্রয় নিতে হচ্ছে।