সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে যোগদানের প্রথম দিনে আর জি কর মামলা শুনতে চলেছেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি! সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। সূত্রের খবর, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে এরপর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন স্পর্শকাতর আর জি কর মামলার বিচারপতির বেঞ্চে জায়গা পেতে চলেছেন বিচারপতি বাগচি।
আসলে শীর্ষ আদালতের প্রথা অনুযায়ী, নতুন কোনও বিচারপতি শীর্ষ আদালতে যোগ দিলে প্রথম দিন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে তাঁকে বসানো হয়। এবং শীর্ষ আদালতের কাজকর্মের পাঠ হাতে-কলমে সেখান প্রধান বিচারপতি। সেই রীতি অনুযায়ী সোমবার শপথ গ্রহণের পর প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে বসার কথা রয়েছে বিচারপতি বাগচির। এদিকে কাকতালীয়ভাবে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ আর জি কর মামলার শুনানি শুরু হওয়ার কথা। ফলে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের সঙ্গে এই মামলা শুনবেন বিচারপতি বাগচি।
উল্লেখ্য, ২৯ জানুয়ারির প্রায় দেড় মাস বাদে সোমবার হতে চলেছে আর জি কর প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানি। নতুন প্রধান বিচারপতি হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর সঞ্জীব কুমারের বেঞ্চে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর ছিল আর জি কর মামলার শুনানি। সেদিনই পরবর্তী শুনানি ১০ মার্চের কথা জানিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি। একইসঙ্গে বলা হয়েছিল, যেহেতু মাঝে তিন মাসেরও বেশি সময়, তাই এই সময়ে যদি কোনও পক্ষের কোনও বক্তব্য থাকে, তবে তারা আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে। সেই মতো সিবিআইয়ের তদন্তপ্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে শীর্ষ আদালতে এসেছিলেন নির্যাতিতা ডাক্তারের মা-বাবা।
ততদিনে আবার নিম্ন আদালত দোষী সাব্যস্ত করে দিয়েছিল সঞ্জয় রাইকে। যে কারণে ২৯ জানুয়ারির শুনানিতে পরিবারের বর্তমান আইনজীবী করুণা নন্দীর প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করেছিল আদালত। বক্তব্য ছিল, আবেদনের বয়ানে রয়েছে বিতর্কিত বিষয়। আদালতের নির্দেশে নতুন করে আবেদন করে নির্যাতিতার পরিবার। ৭ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতির কাছে মৌখিক উল্লেখ করে দ্রুত শুনানির আর্জি করেন আইনজীবী করুণা নন্দী। যদিও তাতে মান্যতা দেয়নি আদালত। সোমবারের শুনানিতে উপস্থিত থাকার জন্য রবিবার দিল্লি পৌঁছিয়েছেন আর জি করে নিহত ডাক্তারের মা ও বাবা। আদালতকক্ষে উপস্থিত থাকতে চেয়ে ই-পাসের আবেদনও করেছেন তাঁরা। যদিও এদিন বিকেল পর্যন্ত তা তাঁরা পাননি। যদি শেষ পর্যন্ত পাস পেয়ে যান, তাহলে আজই প্রথম সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে উপস্থিত থাকবেন তাঁরা। সূত্রের খবর, আদালতকে তাঁরা নিজেরা কিছু বলতে পারেন কিনা, সেই নিয়ে আইনজীবীর সঙ্গে আলোচনাও করছেন নির্যাতিতার মা-বাবা।