সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনলাইনে সহজে লোনের ফাঁদে পড়ে সম্প্রতি অনেকেই সর্বস্বান্ত হয়েছেন। আর এই ধরনের প্রতারণার ক্ষেত্রে যে চিনের (China) দুষ্কৃতীদের একটি বড় অংশ সক্রিয় তার প্রমাণও আগেই মিলেছে। এবার অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়েগুলিতে চিনা ফাঁদের সন্ধান পেল ED। শুক্রবার বেঙ্গালুরুর ৬টি স্থানে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, রেজারপে, পেটিএম (Paytm) এবং ক্যাশফ্রি-র মতো অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়েগুলির বেঙ্গালুরুর অফিসে শুক্রবার হানা দেয় ইডি। সকাল থেকেই লাগাতার তল্লাশি চালানো হয়। ইডির তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যে চিনা ব্যক্তিদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলি থেকে ১৭ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: জেলের খাবারে অরুচি! দেশি মুরগি আর টাটকা পোনা খাওয়ার ‘আবদার’ অনুব্রতর]
এছাড়াও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানাচ্ছে, সম্প্রতি ১৮টি আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ জমা পড়েছিল বেঙ্গালুরুর বিভিন্ন থানায়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে অ্যাপ তৈরি করে তার মাধ্যমে কীভাবে ফাঁদ পাতা হচ্ছে। ছোট ছোট অঙ্কের ঋণ দিয়ে জড়িয়ে ফেলা হচ্ছে ঋণ গ্রহীতাদের। তারপর তাদের সর্বস্বান্ত করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীরা নানা মার্চেন্ট আইডি/ অ্যাকাউন্টের সাহায্যে ফাঁদ পেতেছিল। বিভিন্ন পেমেন্ট গেটওয়ে ও ব্যাংকের সঙ্গে ওই আইডি ও অ্যাকাউন্টগুলি যুক্ত। এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তালিকায় থাকা কোনও ওয়েবসাইট কিংবা রেজিস্টার্ড ঠিকানা থেকে নয়, জাল ঠিকানা ব্যবহার করেই ফাঁদ পাতছে চিনা দুষ্কৃতীরা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ওড়িশাতেও ভুয়ো লোন অ্যাপের নামে টাকা হাতানোর ঘটনায় চিনের তিন নাগরিকের বিরুদ্ধে জারি হয় লুক আউট নোটিস। জানা যায়, ওড়িশা, বাংলা-সহ ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের প্রায় ১ লক্ষ লোকের সঙ্গে প্রতারণা করেছে এই জালিয়াতরা। তদন্তকারীদের অনুমান, এই তিনজন ভারতের বাইরে শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান-সহ অন্যান্য দেশেও এহেন ভুয়ো অ্যাপ চালাচ্ছে। এবার বেঙ্গালুরুতেও সন্ধান মিলল এই ধরনের চক্রের।