shono
Advertisement

সামান্য ছাড় দিয়ে ভোটমুখী রাজ্যগুলিতে মিটিং-মিছিলে নিষেধাজ্ঞা বহাল কমিশনের, চিন্তায় বিরোধীরা

মিটিং-মিছিলের জন্য রাজনৈতিক দলগুলি সময় পাচ্ছে মাত্র সপ্তাহখানেক।
Posted: 08:27 PM Jan 22, 2022Updated: 08:27 PM Jan 22, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সামান্য ছাড় দিলেও ভোটমুখী পাঁচ রাজ্যে মিটিং-মিছিলে নিষেধাজ্ঞা বজায় রাখল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাব, মণিপুর এবং গোয়ার ভোটের জন্য রাজনৈতিক দলগুলি সশরীরে কোনও জনসভা বা মিছিল করতে পারবে না। তবে, উত্তরপ্রদেশের প্রথম দফার ভোটের জন্য কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

শনিবার ভোটমুখী পাঁচ রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং স্বাস্থ্যসচিবদের নিয়ে ভারচুয়াল বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন। ভোটমুখী রাজ্যগুলির টিকাকরণের (Corona Vaccination) গতি এবং করোনা বিধি নিয়ে আধিকারিকদের কাছে খোঁজখবর নেন কমিশন কর্তারা। সূত্রের খবর, মণিপুরে টিকাকরণের গতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে কমিশন। পাঞ্জাবে আগের থেকে টিকাকরণ বাড়লেও মণিপুরে গতি যথেষ্টই কম। উত্তরপ্রদেশ, গোয়া এবং উত্তরাখণ্ডের পরিস্থিতিতে সন্তুষ্ট কমিশন। এই রাজ্যগুলিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমাও শুরু করেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিচার করার পরই অবশ্য মিটিং মিছিলে নিষেধাজ্ঞা বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

ফাইল ছবি

[আরও পড়ুন: সাধারণতন্ত্র দিবসের সমাপ্তি অনুষ্ঠান থেকে বাদ গান্ধীজির পছন্দের গান, বাজবে না ‘অ্যাবাইড মি’]

যদিও প্রচারের ক্ষেত্রে বেশ কিছু ছাড় এদিন ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। উত্তরপ্রদেশের প্রথম দফার আসনগুলিতে আগামী ২৮ শে জানুয়ারি থেকেই জনসভা করা যাবে। তবে সেক্ষেত্রে মোট ৫০০ জনের বেশি বা মাঠের ধারণ ক্ষমতার ৫০ শতাংশের বেশি মানুষ দর্শকাসনে উপস্থিত থাকতে পারবেন না। বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারের ক্ষেত্রে আগে ৫ জন করে কর্মী যেতে পারতেন, এবার সেই সংখ্যা বাড়িয়ে ১০ জন করা হচ্ছে। কোভিড বিধি মেনে ভিডিও ভ্যানের মাধ্যমেও প্রচার করা যাবে ২৮ জানুয়ারি থেকেই। উত্তরপ্রদেশের দ্বিতীয় দফা এবং উত্তরাখণ্ড, গোয়া এবং পাঞ্জাবের (Punjab) ভোটের ক্ষেত্রে ১ ফেব্রুয়ারি থেকেই মিটিং-মিছিল করা যাবে।

[আরও পড়ুন: গোয়ায় তৃণমূলের তারকা প্রচারকের তালিকায় মমতা-অভিষেক, রয়েছেন বাবুল-লিয়েন্ডার পেজরাও]

কমিশনের এই নয়া সিদ্ধান্তের ফলে কিছুটা হলেও সমস্যায় পড়বে বিরোধী দলগুলি। কারণ প্রকাশ্য জনসভার তুলনায় ভারচুয়াল জনসভায় খরচ অনেকটাই বেশি। আর এই মুহূর্তে কমবেশি সব বিরোধী দলই বিজেপির (BJP) থেকে আর্থিকভাবে পিছিয়ে আছে। বিরোধী শিবির চিন্তায় মাত্র এক সপ্তাহ মিটিং-মিছিল করে নিজেদের বার্তা তারা আদৌ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারবেন তো? 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement