shono
Advertisement
Election Commission

'একই এপিক নম্বর থাকা মানেই ভূতুড়ে ভোটার নয়', চাপের মুখে বিবৃতি নির্বাচন কমিশনের

কমিশন বলছে, এপিক নম্বর এক হলেও এক ভোটার আলাদা আলাদা কেন্দ্রে ভোট দিতে পারবেন না।
Published By: Subhajit MandalPosted: 12:48 PM Mar 02, 2025Updated: 12:53 PM Mar 02, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একই এপিক নম্বর থাকা মানেই ভুয়ো ভোটার নয়। ভূতুড়ে ভোটার নিয়ে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস চাপ বাড়াতেই বিবৃতি দিয়ে জানাল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কমিশন বলছে, দুই বা ততোধিক ভোটারের একই এপিক নম্বর থাকতেই পারে। কিন্তু তাঁদের ভুয়ো ভোটার বলা যাবে না। সেক্ষেত্রে অন্যান্য একাধিক শর্তের মাধ্যমে দুই ভোটারকে আলাদা করা সম্ভব।

Advertisement

নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য, সম্প্রতি একাধিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে একই এপিক নম্বরে একাধিক রাজ্যে একাধিক ভোটারের হদিশ মিলছে। কমিশন স্পষ্ট করে দিতে চায়, একাধিক ভোটারের এপিক নম্বর একরকম হতেই পারে। কিন্তু সেটার সঙ্গে আর যা যা বিশেষত্ব উল্লেখ করা থাকে, তাই দিয়েই দুই ভোটারকে আলাদা করা যেতে পারে। ভোটার কার্ডে থাকা ভোটারের পরিচয়, বিধানসভা কেন্দ্রের নাম, এবং পোলিং বুথের নামের মাধ্যমে দুই ভোটারকে আলাদা করা যাবে। আর এপিক নম্বর যা-ই থাকুক, প্রত্যেক ভোটার নিজের নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে, নিজের নিজের বুথে গিয়ে ভোট দিতে পারবেন। নিজের কেন্দ্রের বাইরে অন্য কোথাও গিয়ে ভোট দিতে পারবেন না।

হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র এবং দিল্লি। লোকসভার পর এই ৩ রাজ্যে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। অথচ বিধানসভা ভোটের কয়েক মাস আগে লোকসভায় মহারাষ্ট্রে ভরাডুবি হয়েছিল গেরুয়া শিবিরের। হরিয়ানাতেও ফলাফল আশানুরূপ হয়নি। বিরোধীদের অভিযোগ, তিন রাজ্যেই সুপরিকল্পিতভাবে ভূতুড়ে ভোটার ঢুকিয়ে নির্বাচনকে প্রভাবিত করা হয়েছে। বিজেপির পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকেও নিশানা করেছে বিরোধী শিবির। এরাজ্যেও একই রকম পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মমতার অভিযোগ, দিল্লি, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্রের ধাঁচে ছাব্বিশের ভোটের আগে বাংলাতেও ভুয়ো ভোটার ঢোকানোর ছক কষা হচ্ছে।

দিন তিনেক আগে নেতাজি ইন্ডোরে দলীয় সভা থেকে মমতা ভূতুড়ে বা ভুয়ো ভোটার ধরতে রাজ্যস্তরের একটি কমিটিও গড়ে দেন। রাজ্যজুড়ে শাসকদলের নেতাকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভূতুড়ে ভোটারের সন্ধানও শুরু করেছেন। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তথাকথিত 'ভূতুড়ে ভোটারে'র হদিশ মিলেছে বলেও দাবি শাসকদলের। এসবের মধ্যেই বিবৃতি দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কমিশনের এই বিবৃতি আসলে এপিক নম্বর বিতর্কে রাশ টানার চেষ্টা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • একই এপিক নম্বর থাকা মানেই ভুয়ো ভোটার নয়।
  • ভূতুড়ে ভোটার নিয়ে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস চাপ বাড়াতেই বিবৃতি দিয়ে জানাল জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
  • কমিশন বলছে, দুই বা ততোধিক ভোটারের একই এপিক নম্বর থাকতেই পারে।
Advertisement