সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত বেশ কয়েক বছর বন্ধ থাকা কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত-চিন। শনিবার বিদেশ মন্ত্রক জানাল, জুন থেকে আগস্টের মধ্যে কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা করতে পারবেন পুণ্যার্থীরা।
বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "৫০ জন পুণ্যার্থীর পাঁচটি এবং দশটি দল যথাক্রমে উত্তরাখণ্ডের লিপুলেখ পাস এবং সিকিমের নাথুলা পাস হয়ে কৈলাস যাত্রা করবে।" মন্ত্রকের তরফে জানানো হেয়ছে, যাত্রার জন্য kmy.gov.in ওয়েবসাইট খোলা হয়েছে। এখানেই আবেদন করতে পারবেন তীর্থযাত্রীরা। যাবতীয় শংসাপত্র যাচাই করে ন্যায্য, কম্পিউটার পরিচালিত এবং লিঙ্গ-ভারসাম্যপূর্ণ প্রক্রিয়ায় কৈলাসের যাত্রী বাছাই হবে।
গত জানুয়ারি মাসে দু'দিনের চিন সফরে সে দেশের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইর সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি। এরপরই পুণ্যার্থীদের জন্য সুখবর দেয় বিদেশ মন্ত্রক। জানানো হয়—“২০২৫ সালের গ্রীষ্মেই কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রায় রাজি হয়েছে দুই দেশ। ” উল্লেখ্য, গত অক্টোবরে রাশিয়ার কাজন শহরে এক বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে রাজি হয়েছিলেন। মনে করা হচ্ছে তারই ফলশ্রুতি কৈলাস-মানস নিয়ে ভারত-চিনের ইতিবাচক সিদ্ধান্ত।
২০২০ সালে কোভিড অতিমারীর কারণে এই যাত্রা বন্ধ হয়ে যায়। তারপর গালওয়ান সংঘাতের জেরে ব্যাপক অবনতি ঘটে ভারত-চিন সম্পর্কে। দুই কারণেই ২০২৩ সাল পর্যন্ত বন্ধ থাকে কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা। তবে গত বছর প্রচুর কড়াকড়ি চাপিয়ে চিনের তরফে এই যাত্রা শুরুর প্রস্তাব দেওয়া হয়। ফলে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায় যাত্রার খরচ। এত খরচের ধাক্কা সামলে ভারতীয় পুণ্যার্থীদের পক্ষে যাত্রা করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ে। মনে করা হচ্ছে এবারে পুণ্য়ার্থীদের সমস্যার দিকটি নিয়েও উভয়পক্ষের কথা হবে। উল্লেখ্য, ২০২৫ সালে ভারত-চিন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫ বছর পূর্ণ হচ্ছে।