সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সব জল্পনার অবসান। বিজেপিতেই যোগ দিলেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেন। শুক্রবার রাঁচিতে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এবং শিবরাজ সিং চৌহানের উপস্থিতিতে এক মেগা জনসভায় গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান ঝাড়খণ্ডের 'টাইগার'। তাঁর বহু অনুগামীও ওই সভা থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বলে দাবি চম্পাই শিবিরের।
দুর্নীতি মামলায় হেমন্ত সোরেন জেলবন্দি হওয়ার পর রাজ্যভার উঠেছিল চম্পাইয়ের কাঁধে। তবে হেমন্তের জেলমুক্তির পর মুখ্যমন্ত্রীর কুরসি হারানো তো বটেই, দলেও নাকি কোণঠাসা হয়ে যান চম্পাই সোরেন। যেভাবে কার্যত ‘ঘাড়ধাক্কা’ দিয়ে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তাতেও অসন্তুষ্ট ছিলেন চম্পাই। ঠিক যেভাবে বিহারে নীতীশ কুমার জিতন রাম মাঝিঁর হাতে দায়িত্ব ছেড়ে যাওয়ার পর ফিরে এসে ধাক্কা খেয়েছিলেন, সেভাবেই ধাক্কা খেলেন হেমন্ত। নীতীশের প্রত্যাবর্তনের পর তাঁর সঙ্গে মনোমালিন্য হয় মাঝিঁর। শেষে জেডিইউ ছেড়ে নিজের আলাদা দল ঘোষণা করেন তিনি। একইভাবে চম্পাইও হেমন্তের থেকে দূরত্ব বাড়িয়ে পৃথক রাস্তা দেখলেন।
[আরও পড়ুন: ‘৪৭ শতাংশ বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন’, প্রতিবন্ধকতাকে ‘অস্ত্র’ করে চাকরি ফেরাতে মরিয়া পূজা]
দিন কয়েক আগেও ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চায় হেমন্ত সোরেনের পর দ্বিতীয় প্রভাবশালী নেতা হিসেবে উঠে আসত চম্পাইয়ের নাম। ঝাড়খণ্ডকে পৃথক রাজ্য করার দাবিতে চলা আন্দোলনে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন ৭ বারের বিধায়ক চম্পাই মুখ্যমন্ত্রিত্ব হারানোর পর ঝড়খণ্ডের মন্ত্রীও ছিলেন। তবে জেএমএম ছেড়ে তিনি পৃথক দলগঠন করতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছিল। শেষমেশ সে পথে না হেঁটে বিজেপিকেই বাছলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: জনসংখ্যা বৃদ্ধির চেয়ে বেশি পড়ুয়া আত্মহত্যার হার! প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট]
ভোটের ঠিক আগে আগে চম্পাইয়ের যোগদান নিঃসন্দেহে ঝাড়খণ্ডে শক্তি অনেকটা বাড়িয়ে দিল বিজেপির। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে দাঁত ফোঁটাতে পারেনি গেরুয়া শিবির। চম্পাইয়ের মতো প্রভাবশালী আদিবাসী নেতা যোগ দেওয়ায় এবার জেএমএমের ওই ভোটব্যাঙ্কে বড়সড় থাবা বসাতে পারে গেরুয়া শিবির।