সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভয়ংকর ষড়যন্ত্র। ওয়ো রুম ভাড়া নিয়ে গোপন ক্যামেরা (Hidden Camera) বসিয়ে দম্পতির ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের দৃশ্য তুলত দুষ্কৃতীরা। এরপর তা সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ভাইরাল করা হবে বলে হুমকি দিয়ে দম্পতির থেকে অর্থ আদায় করা হত। এমন অভিযোগেই উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) নয়ডা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুই ব্যক্তিকে। এই অপরাধের সঙ্গে হোটেলকর্মীরা যুক্ত নয় বলেই মনে করছে পুলিশ। তবে দেশজুড়ে একাধিক চক্র এমন কাজ চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। চার ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা ছাড়াও একাধিক ল্যাপটপ, ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
সম্প্রতি নয়ডার (Noida) একটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এক ব্যক্তি। অভিযোগ ছিল, হোটেলে এক মহিলার সঙ্গে গিয়েছিলেন তিনি। হোটেল থেকে বেরোনোর কিছু পরে অচেনা ফোন নম্বর থেকে তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ করা হয়। একটি ভিডিও পান তিনি। যা আসলে ছিল তাঁর ও সঙ্গী মহিলার ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের দৃশ্য। এরপর অচেনা নম্বর থেকে জানানো হয়, ওই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হবে, ওই ব্যক্তির আত্মীয়-বন্ধুদের কাছে পাঠানো হবে, যদি না তিনি ৫০ হাজার টাকা দেন।
[আরও পড়ুন: এখনও বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে নীতীশ কুমারের! ফের বিস্ফোরক পিকে]
এরপরই ঘটনার তদন্ত নামে নয়ডা পুলিশ। তারা জানতে পারে, ধৃতেরা প্রথমে সাধারণ মানুষের ছদ্মবেশে ওয়ো হোটেলে ঢুকে ঘর ভাড়া নিত। এরপর সেখানে গোপন ক্যামেরা বসিয়ে চলে যেত। স্বাভাবিক নিয়মে পরে অন্য কেউ ঘর ভাড়া নিতেন। কিছুদিন পর ফের ওই ঘর ভাড়া নিয়ে ক্যামেরা খুলে নেওয়া হত। এবং রেকর্ড করা ভিডিও সংগ্রহ করে ব্ল্যাকমেল করা হত দম্পতিদের।
[আরও পড়ুন: ট্রাফিক আইন ভাঙলেও হবে না জরিমানা, ভোটের মুখে ‘উপহার’ গুজরাটের মন্ত্রীর, তুঙ্গে বিতর্ক]
এই ঘটনায় এখনও অবধি চার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃত বিষ্ণু সিংহ, আব্দুল ওয়াহাব, পঙ্কজ কুমার এবং অনুরাগকুমার সিংহকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশের অভিযানে ১১টি ল্যাপটপ, ২১টি মোবাইল ফোন ও ২২টি এটিএম কার্ড উদ্ধার হয়েছে। এই চক্রের আরও এক সদস্য এখনও পলাতক বলে জানা গিয়েছে। তাঁর সন্ধানে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।