সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যৌনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে গণধর্ষণ (Gangrape) করা হয়েছে, এমন অভিযোগ এনেছিলেন গাজিয়াবাদের (Ghaziabad) এক মহিলা। পরবর্তীকালে দেখা যায়, সম্পত্তি হাতাতে ভুয়ো অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিনি। পুলিশের কাছে মিথ্যা অভিযোগ জানানোর অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩৬ বছর বয়সি ওই মহিলাকে। তাঁকে আপাতত ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। প্রতারণা করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই মহিলার তিন সহযোগীকেও।
গাজিয়াবাদের পুলিশ সুপারিনটেন্ডেন্ট নিপুণ আগারওয়াল বলেছেন, “পুলিশের বিশেষ দল ওই মহিলাকে আটক করেছে। ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে বয়ানও রেকর্ড করিয়েছেন তিনি। আপাতত তাঁকে ১৪ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে।” আজাদ, আফজল ও গৌরব নামে তিন ব্যক্তিকেও আটক করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সম্পত্তি হাতানোর জন্য বৈধ নথিপত্রের অপব্যবহার করেছেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: টাকার দাম কমেনি! নির্মলার দাবি প্রমাণে এবার পরিসংখ্যান প্রকাশ করল কেন্দ্র]
প্রসঙ্গত, দিনদুয়েক আগেই গাজিয়াবাদের এই ‘গণধর্ষণের’ ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। যৌনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে গণধর্ষণ করেছে পাঁচ ব্যক্তি, এমন অভিযোগ এনেছিলেন ওই মহিলা। প্রাথমিক অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তারও করা হয়েছিল ওই পাঁচজনকে। কিন্তু পরে জানা গিয়েছে, আদৌ ৩৬ বছরের ওই মহিলা গণধর্ষিতাই হননি। এর পিছনে রয়েছে জমি বিবাদ। আর সেই কারণেই ওই পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলেন তিনি।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশ ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, এই ঘটনাটি ছিল পুরোপুরি সাজানো। আগে থেকেই জমিজমা সংক্রান্ত বিবাদ ছিল ওই মহিলা ও ওই ব্যক্তিদের মধ্যে। তাঁদের ফাঁসাতেই তাই ওই পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। সঙ্গে নেন কয়েকজন বন্ধুকে। যে দু’দিন তিনি নিখোঁজ ছিলেন, সেই দু’দিন তিনি ওই বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দিল্লির মহিলা কমিশন উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) কাছে আরজি জানিয়েছেন, ওই মহিলার বিরুদ্ধে যেন কড়া পদক্ষেপ করা হয়। কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল তাঁর লেখা চিঠিতে দাবি করেছেন, পুরো ঘটনাটি নিয়ে যেন উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করা হয়।