সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোটায় (Kota) আত্মঘাতী আরও এক পড়ুয়া। ১১ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্য়া করে ১৭ বছরের এক নিট পরীক্ষার্থী। নাবালিকাকে ধর্ষণ ও আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে আরেক কিশোর ও তাঁর মাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, নিট পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য কোটায় গিয়েছিলেন ১৭ বছরের ওই পড়ুয়া। দুই দাদা ও দিদির সঙ্গে একটি বহুতলে ভাড়া নিয়ে থাকত সে। যদিও পুলিশের দাবি, কিশোরী এখনও কোনও কোচিংয়ে ভরতি হয়নি। ওই বহুতলের পাঁচতলায় মায়ের সঙ্গে আরেক কিশোর থাকত। সেও নিট পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য় কোটায় এসেছিল। সেই কিশোর ও তার মায়ের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে।
[আরও পড়ুন: ‘ইসলাম বিশ্বের প্রাচীনতম ধর্ম, ভারত যতটা মোদির ততটা মুসলিমদেরও’, দাবি ধর্মগুরুর]
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই কিশোর-কিশোরীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেছিল কিশোরের মা। এরপর নাবালিকাকে বকাবকি করেন তিনি। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেন বলেও অভিযোগ। এরপরই ১১ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে সে। ময়নাতদন্তের পর মেয়েটির বাবার হাতে দেহ তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে একাধিক নমুনা ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে কোটার পুলিশ সুপার শঙ্করলাল জানিয়েছেন, মেয়েটির বাবা কিশোর ও তার মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে। কিশোরের মায়ের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মেয়েটি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে বলে দাবি মৃতার বাবার।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য কোটার কোচিংয়ে ভরতি হয় বহু পড়ুয়া। সেখানেই একের পর এক এধরনের ঘটনা ঘটায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে। এনিয়ে চলতি বছরে ৩ পরীক্ষার্থী আত্মঘাতী হল কোটায়। ২০২২ সালে এই সংখ্যাটি ছিল ১৫।