সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ কোন সকাল। রাতের চেয়েও অন্ধকার! দূষণের জেরে দিল্লির সকালগুলো যেন এরকমই! রাতের চেয়েও অন্ধকার। বাতাসে বিষ। যা পরিস্থিতি তাতে রাজধানীর বাতাসে নিঃশ্বাস নেওয়াই দায়। হিসাব বলছে, দিল্লির কোনও কোনও এলাকায় বাতাসের গুণগত মান ৫০০ পর্যন্ত নেমে গিয়েছে। এই পরিস্থিতি রাজধানীর বায়ুদূষণ রুখতে কৃত্রিম বৃষ্টিতে ভরসা রাখছে দিল্লির আপ সরকার। কেন্দ্রের সম্মতি পেলেই কৃত্রিমভাবে দিল্লির আকাশে বর্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
ইতিমধ্যেই বায়ুদূষণকে ‘মেডিক্যাল এমার্জেন্সি’ হিসাবে ঘোষণা করেছে দিল্লির সরকার। গতকাল দিল্লির বায়ুদূষণ চলতি মরশুমের সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। দিল্লির বায়ুদূষণের মাত্রা ছিল ৪৮১ (AQI)। মঙ্গলবার আরও বেড়েছে দূষণের পরিমাণ। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন রাজধানীর দূষণের মাত্রা উঠেছে ৪৯৪ (AQI) পর্যন্ত। এছাড়াও দিল্লির একাধিক এলাকায় দূষণের মাত্রা ৫০০ ছুঁয়ে ফেলেছে। সেই তালিকায় রয়েছে জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়াম, মুনকা, নর্থ ক্যাম্পাস, ওয়াজিরপুরের মতো জায়গাগুলো।
বাতাসে ঘন কুয়াশা, ধোঁয়াশা থেকে বাঁচতে বৃষ্টির অপেক্ষায় বৃষ্টিবাসী। নভেম্বরে প্রাকৃতিক উপায়ে বৃষ্টির সম্ভাবনাও বিশেষ নেই। অগত্যা দিল্লির আপ সরকার চাইছে কোনওভাবে কৃত্রিম বৃষ্টির মাধ্যমে দিল্লির দূষণ ধুয়ে ফেলতে। দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের কাছে দিল্লিতে কৃত্রিম বৃষ্টির জন্য আবেদন করেছেন। তাঁর বক্তব্য, দূষণে দিল্লির হাঁসফাঁস পরিস্থিতি। অথচ, কেন্দ্র নীরব। ইতিমধ্যেই বার কয়েক অনুরোধ করা হয়েছে কৃত্রিম বৃষ্টির জন্য। কিন্তু কেন্দ্র অনুমতি দেয়নি। দিল্লির পরিবেশমন্ত্রীর দাবি, কেন্দ্র অনুমতি দিলেই দিল্লিতে কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থা হবে। ইতিমধ্যেই বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।