সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্ত্রীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করলেন এক ব্যক্তি। সুরাটের (Surat) আদালতে স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে ক্ষতিপূরণেরও আবেদন করেছেন তিনি। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, স্ত্রীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু পুলিশ তাঁর অভিযোগ গ্রহণ করেনি। তাই বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন গুজরাটের (Gujarat) ওই ব্যক্তি।
জানা গিয়েছে, ২০১০ সালে বিয়ে হয় অভিযোগকারী কমলেশের। তাঁদের দু’টি সন্তানও রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিনের দাম্পত্য জীবনে বরাবরই স্ত্রীর উপর সন্দেহ ছিল তাঁর। অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে স্ত্রীর, এমনই সন্দেহ ছিল। অবশেষে জানতে পারেন, ২০০৯ সালে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল কমলেশের স্ত্রীর। কিন্তু সেই বিয়ের কথা বেমালুম চেপে গিয়ে পরের বছরেই কমলেশকে বিয়ে করেন ওই মহিলা।
[আরও পড়ুন: বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফিরতে দণ্ডি! রিপোর্ট তলব জাতীয় ST কমিশনের]
দীর্ঘদিন পরে এই বিয়ের বিষয়টি জানতে পারেন কমলেশ। স্ত্রীর প্রথম বিয়ের সার্টিফিকেট তাঁর হাতে আসে। দু’জনের কথোপকথনের বিবরণও খুঁজে পান কমলেশ। তারপরেই দুই সন্তানের ডিএনএ টেস্ট করান তিনি। দেখা যায়, কমলেশের সঙ্গে তাঁর ছোট ছেলের ডিএনএ মিলছে না। সেখান থেকেই কমলেশ ও তাঁর স্ত্রীর মধ্যে তুমুল অশান্তি শুরু হয়। পুলিশের দ্বারস্থ হয়ে স্ত্রীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করতে চান কমলেশ।
কিন্তু সেই অভিযোগ গ্রহণ করেনি পুলিশ। তারপরেই সুরাটের স্থানীয় আদালতের দায়ের হয় মামলা। কমলেশের আরজি, প্রথম বিয়ের কথা গোপন করে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন স্ত্রী। ঠকিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা আসলে ধর্ষণের সমান। এই অভিযোগ দায়ের করে স্ত্রী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের গ্রেপ্তারির আবেদন জানিয়েছেন কমলেশ।