সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচন মিটলেই দেশজুড়ে ন্যায় সংহিতা আইন কার্যকর হবে বলে ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। কিন্তু নতুন এই আইন কার্যকরের বিরোধিতা করে মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সোমবার সেই মামলার শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে।
গত বছরের শেষদিকে দেশের পুরনো ফৌজদারি আইনের পরিবর্তে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ও ভারতীয় সাক্ষ্য বিল পাশ করায় কেন্দ্র। এই তিন আইনকে একসঙ্গে ন্যায় সংহিতা (Nyaya Sanhita) বলা হয়। এই নয়া আইন কার্যকর করা নিয়ে বিস্তর আপত্তি জানিয়েছে বিরোধীরা। কিন্তু সেসব আপত্তি উড়িয়ে দিয়েছিল কেন্দ্র। জানিয়ে দেওয়া হয়, ১ জুলাই ওই তিন আইন কার্যকর হবে দেশজুড়ে।
[আরও পড়ুন: বৃদ্ধ দলিত দম্পতিকে জুতোর মালা পরিয়ে পোস্টে বেঁধে মার, ফের বিতর্কে মধ্যপ্রদেশ]
কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ চেয়ে শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছেন বিশাল তিওয়ারি নামে এক আইনজীবী। তাঁর আবেদনে বলা হয়েছে, দণ্ড সংহিতা আইন যেসময়ে পাশ হয় তখন অধিকাংশ সাংসদ সাসপেন্ড ছিলেন। যথাযথভাবে আলোচনাও হয়নি এই আইন নিয়ে। এই আইন যদি কার্যকর হয়, তাহলে পুলিশি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে। তাছাড়াও এই আইনে বেশ কিছু গলদ থাকতে পারে। অসঙ্গতি থাকতে পারে আইনের নানা ধারায়। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই সোমবার শুনানি শুরু হবে সুপ্রিম কোর্টে।
উল্লেখ্য, ইন্ডিয়ান পেনাল কোড (IPC) বা ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪(ক) ধারা বদলে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র। ইন্ডিয়ান পেনাল কোড, কোড অফ ক্রিমিন্যাল প্রসিডিউর বা সিআরপিসি, এবং ভারতীয় সাক্ষ্য আইন বা ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট এই তিন আইনের বদলের জন্য বিল পাশ হয়েছে সংসদে। কিন্তু বিল পেশের পর থেকেই বিরোধীরা সরব হয়েছেন। ইন্ডিয়া জোটের তরফে অভিযোগ করা হয়, সরকার এই আইন নিয়ে বড্ড তাড়াহুড়ো করছে। এই আইনের বিরোধিতায় সবচেয়ে বেশি সরব ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধীদের আপত্তির অন্যতম কারণ, নয়া দণ্ড সংহিতায় ঘুরপথে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনকে আরও প্রবলভাবে কার্যকর করা হবে।