সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর বুধবার রাতে ইডির হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন ঝাড়খণ্ডের সদ্যপ্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। বুধবার সন্ধে পর্যন্ত ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রিত্বের কুরসিতে ছিলেন তিনি। কিন্তু দিনভর ইডির জেরার পর তাঁর গ্রেপ্তারি নিশ্চিত হয়ে যায়। সম্ভবত ইডি কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেই তিনি রাজভবনে গিয়ে ইস্তফা দেন তিনি। তার পর রাতেই তাঁকে গ্রেপ্তার করে ইডি।
তবে এভাবে দুর্নীতির দায়ে গ্রেপ্তার হওয়া মুখ্যমন্ত্রীদের তালিকায় হেমন্তের নামই প্রথম নয়। এর আগে ঝাড়খণ্ডেরই দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গ্রেপ্তার হয়েছেন দুর্নীতির দায়ে। ২০০৯ সালে দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন আরও এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মধু কোড়া (Madhu Koda)। ঘুষ নিয়ে কয়েকটি সংস্থাকে নিয়ম ভেঙে কয়লা ব্লকের বরাত পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। ২০১৭ সালে ওই মামলায় দোষী প্রমাণিত হয়ে তাঁর সাজাও হয়েছিল মধু কোড়ার।
[আরও পড়ুন: মোদি জমানায় হু হু করে বাড়ছে ভ্রষ্টাচার! ‘দুর্নীতি সূচকে’ বিশ্বে ভারতের স্থান কত?]
ঝাড়খণ্ডের আরেক মুখ্যমন্ত্রী তথা হেমন্ত সোরেনের বাবা শিবু সোরেনও (Shibu Soren) গ্রেপ্তার হয়েছিলেন দুর্নীতির দায়ে। দুর্নীতি এবং খুনের মামলায় আলাদা আলাদাভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাঁকে। ২০০৬ একটি খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। তখন অবশ্য তিনি মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন না। ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। ইস্তফা দিয়ে জেলে যেতে হয়েছিল তাঁকে। এ ছাড়া সাংসদ কেনাবেচার মতো দুর্নীতি মামলাতেও জেলে যেতে হয়েছে ঝাড়খণ্ডের ‘গুরুজি’কে।
[আরও পড়ুন: নতুন সংসদ ভবনে প্রথম সম্ভাষণ, রাষ্ট্রপতি মুর্মুর মুখে রামমন্দির থেকে তিন তালাক]
ঝাড়খণ্ডের ইতিহাসে তৃতীয় মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে গ্রেপ্তার হলেন হেমন্ত। তবে আগের দুজন হেমন্তর মতো মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন গ্রেপ্তার হননি। বা গ্রেপ্তার হওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে হয়নি। এর আগে দেশে গ্রেপ্তারির জন্য মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে হয়েছে মাত্র দুজনকে। একজন বিহারের লালুপ্রসাদ যাদব, আরেকজন তামিলনাড়ুর জে জয়ললিতা।