সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী ২৬ জুলাই মুখ্যমন্ত্রিত্বের মসনদে দু’বছর পূর্ণ হবে কর্ণাটকের (Karnataka) মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা-র (BS Yediyurappa)। ওই দিনই হয়তো ইস্তফা দেবেন বর্ষীয়ান বিজেপি (BJP) নেতা। ক্রমশই জোরাল হচ্ছে এমন গুঞ্জন। ইয়েদুরাপ্পা নিজে এমন সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দিলেও তাঁর দলেরই সিনিয়র নেতারা জানাচ্ছেন, ইয়েদুরাপ্পার প্রস্থান একেবারে পাকা। তা কেবল সময়েরই অপেক্ষা।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে দেখা করেন ইয়েদুরাপ্পা। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) ও বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গেও সাক্ষাৎ হয় তাঁর। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, তিনি রাজ্যের কয়েকটি প্রকল্প নিয়েই কথা বলতে দিল্লি এসেছেন। বারবার উড়িয়ে দিয়েছেন ইস্তফার গুঞ্জনকে।
[আরও পড়ুন: জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ, সাইকেলে সংসদে পৌঁছবেন TMC সাংসদরা]
কিন্তু দলেরই শীর্ষ নেতারা জানাচ্ছেন আসল সত্যিটা অন্য। দলীয় কোন্দলের ধাক্কায় মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়ার কথাই তিনি জানিয়েছেন দিল্লি এসে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে এবিষয়ে বলতে গিয়ে এক সিনিয়র নেতা বলেছেন, ‘‘এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা। উনি চাইছেন দল ওঁর এক উত্তরসূরি ঠিক করুক। এবং সেটা অবশ্যই ওঁর সঙ্গে কথা বলেই। তবে কবে উনি ইস্তফা দেবেন সেই ভার কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ওঁর উপরেই দিয়ে রেখেছেন।’’
কিন্তু একেবারে ভিন্ন সুর ইয়েদুরাপ্পার গলায়। তিনি জানাচ্ছেন, ‘‘ওঁরা আমাকে দলের শক্তি বাড়ানোর কথা বলেছেন। এমনকী শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীও সেই কথা বলেছেন। অমিত শাহ, নাড্ডা, রাজনাথ সিং এঁরা সকলেও একই কথা বলেছেন। আমি ওঁদের জানিয়েছি দলের শক্তি বৃদ্ধি করতে আমি দিনরাত এক করে কাজ করব। আগামী লোকসভা নির্বাচনে দল যাতে ২৫টি আসনে জয়লাভ করতে তা নিশ্চিত করতে সব রকম চেষ্টা করার ব্যাপারে ওঁদের কথা দিয়েছি আমরা।’’
প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাস ধরেই কর্ণাটকের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন বিজেপি নেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক একেবারেই ভাল নেই ইয়েদুরাপ্পার। আর সেই কারণেই তিনি মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে চান, ক্রমশ জোরাল হচ্ছে এই গুঞ্জন। আপাতত দেখার, ২৬ জুলাই সত্যিই তিনি ইস্তফা দেন কিনা। তিনি সরে গেলে কে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হবেন তা নিয়েও আলোচনা চলছে। তবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে এখনও।