সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘কুপুত্র যদ্যপি হয়, কুমাতা কদাপি নয়।’ সকলেই জানেন এই প্রবাদটির কথা। কিন্তু সেই প্রবাদই ইদানীং ভুল প্রমাণিত হয়েছে বহুবার। মঙ্গলবার আরও একবার সেই প্রবাদটি মিথ্যে প্রমাণিত হল। নিজের চার বছরের পুত্রসন্তানকে খুন (Murder) করার অভিযোগ উঠেছে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার এক মালকিনের বিরুদ্ধে। কেবল খুন করাই নয়, মৃতদেহ ব্যাগে ভরে পালানোর চেষ্টাও করছিলেন তিনি। এমন খবরে শিউরে উঠেছে দেশ। প্রশ্ন উঠছে, কে এই সূচনা শেঠ? কেন মা হয়েও নিজের সন্তানকে খুন করার মতো এমন অভাবনীয় নির্মমতার পথ বেছে নিলেন তিনি?
৩৯ বছরের সূচনার লিঙ্কডিন প্রোফাইল দেখলে চমকে উঠতে হয়। কলকাতার মেয়ে সূচনা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই পদার্থবিদ্যায় স্নাতকোত্তর। সংস্কৃতেও স্নাতকোত্তর। পরীক্ষায় হয়েছিলেন প্রথম। রাশিবিজ্ঞানী (Data Scientist) হিসেবে অভিজ্ঞতা ১২ বছরের। ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ‘দ্য মাইন্ডফুল এআই ল্যাব’ নামের এক সংস্থা। এহেন মহিলাকে কর্নাটকের চিত্রদুর্গ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে নিজের সন্তানকে খুন করার অভিযোগে।
[আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী মোদির পাশে মহম্মদ শামি, মালদ্বীপ বয়কটের ডাক দিলেন টিম ইন্ডিয়ার পেসার]
কিন্তু কেন এই ঘৃণ্য পথ বেছে নিলেন তিনি? প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, স্বামীর সঙ্গে বচসাই রয়েছে এই খুনের পিছনে। ২০১৯ সালে ছেলের জন্ম দিয়েছিলেন সূচনা। কিন্তু পরের বছর অর্থাৎ ২০২০ সালেই স্বামী ভেঙ্কট রমনের সঙ্গে শুরু হয় চূড়ান্ত বাদানুবাদ। বচসা ক্রমে গড়ায় বিচ্ছেদে। কিন্তু ছেলে কার কাছে থাকবে তা নিয়ে গোলমাল ক্রমেই বাড়তে থাকে। আদালত তাঁর কাছেই ছেলেকে রাখার নির্দেশ দেয়। তবে প্রতি রবিবার বাবাকে ছেলের সঙ্গে দেখা করতে দিতে হবে বলেও জানান বিচারক। আর এখান থেকেই শুরু হয় আতঙ্ক। তদন্তকারীরা মনে করছেন, ছেলেকে নিজের কাছে রাখার চেষ্টা করতে পারেন ভেঙ্কট, এই আতঙ্ক কাজ করছিল সূচনার মনে। আর ছেলের প্রতি প্রবল অধিকারবোধ থেকেই সম্ভবত তিনি খুন করেছেন পুত্রসন্তানকে, এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে।