shono
Advertisement

হিমাচলে ‘ট্রেন্ড’বদলানো নিয়ে আত্মবিশ্বাসী বিজেপি, মাটি কামড়ে প্রচারে কংগ্রেস

শনিবারই হিমাচল প্রদেশে নির্বাচন।
Posted: 02:33 PM Nov 11, 2022Updated: 02:33 PM Nov 11, 2022

বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: রাত পোহালেই হিমাচল প্রদেশে নির্বাচন। যে রাজ্যে গত কয়েক দশক ধরে পাঁচ বছর অন্তর অন্তর সরকার বদলের রীতি চলে আসছে। কিন্তু বিজেপি (BJP) এবার সেই রীতি বদলাতে মরিয়া। ক্ষমতায় ফিরছে দল। আত্মবিশ্বাসী গেরুয়া শিবির। প্রচারের দু’দিন আগেই পাহাড় ছেড়েছেন হেভিওয়েট নেতারা। আবার ‘বিনা যুদ্ধে না দিব সুচগ্র্য মেদিনী’ মনোভাব প্রধান প্রতিপক্ষ কংগ্রেসের। তাই শেষ সময় পর্যন্ত মাটি কামড়ে পড়ে রইলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। জনসভা থেকে বিজেপিকে বিঁধলেন তিনি।

Advertisement

রাত ফুরলেই হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh) ভোটগ্রহণ। প্রায় সব জনমত সমীক্ষা বলছে হিমাচলে নিরঙ্কুশভাবে ক্ষমতায় ফিরবে বিজেপি। প্রচারের বহরও তেমনই ইঙ্গিত করছে। ভোট ঘোষণার পর থেকেই প্রচারে ঝাঁপিয়েছিল গেরুয়া শিবির। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। আবার দলের সর্ভভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda) থেকে ভূমিপুত্র অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur) প্রচারে ঝড় তুলেছিলেন।

[আরও পড়ুন: দেশের কোভিড গ্রাফে সামান্য উন্নতি, দৈনিক সংক্রমণ নামল হাজারের নিচে]

দফায় দফায় পাহাড়ে গিয়েছেন মোদি-শাহরা। কারণ, এবার অগ্নিপথ (Agnipath) প্রকল্প চিন্তায় ফেলেছে গেরুয়া শিবিরকে। পরিসংখ্যান বলছে, হিমাচলের প্রতি পরিবারের একজন ভারতীয় সেনায় কাজ করেন। তাই অগ্নিপথ প্রকল্প জের ভোটবাক্সে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল। মানুষের মন বুঝতেই পদ্মশিবিরের নেতারা মাটি কামড়ে পড়েছিলেন। এই প্রকল্প সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে ইচ্ছুক যুবকদের সাহায্য করবে বলে বারবার বোঝানোর চেষ্ঠা করেন মোদি-শাহরা। তবে ভোটবাক্সে অগ্নিপথের নেতিবাচক প্রভাব না পড়লে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সুবিধা হবে বলেই মনে করছে বিজেপি নেতৃত্ব। তবে ভোটপ্রচারের শেষদিন হেভিওয়েট কোনও নেতা ছিলেন না। জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী হওয়াতেই শেষদিন প্রচারের দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া হয় অনুরাগ ঠাকুরদের মতো দ্বিতীয় সারির নেতাদের ওপর।

[আরও পড়ুন: ‘বাড়িতে বসে কাজ করা চলবে না’, টুইটার কর্মীদের উদ্দেশে প্রথম বার্তাতেই কঠোর মাস্ক]

অন্যদিকে, ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রায় ব্যস্ত থাকায় হিমাচলে প্রচারেই যাননি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। দায়িত্ব ছেড়েছেন বোন প্রিয়াঙ্কার (Priyanka Gandhi) ওপর। এছাড়াও ছত্রিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল, সাংসদ রাজীব শুক্লা (Rajeev Shukla) ও শচিন পাইলটরা হিমাচলের এক পাহাড় থেকে আরেক পাহাড়ে ছুটে বেরিয়েছেন। এদিন সতৌনে জনসভা করেন সোনিয়া কন্যা। তারপর সিমলাতে পরিবর্তন প্রতিজ্ঞা মিছিল করেন। সেখানে প্রিয়ঙ্কা দাবি করেন, বিজেপির শাসনে পাহাড়ের মানুষের কি বিকাশ হয়েছে তা ভোটবাক্স খুললেই বোঝা যাবে। কারণ হিমাচলে বিজেপি পরিবারতন্ত্র চালাচ্ছে। বিজেপির ‘জুমলা’ মানুষ ধরে ফেলেছে। তাই পরিবর্তন আসন্ন বলে দাবি করেন তিনি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement