সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় দিল্লি-গুরগাঁও সীমান্ত বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় হরিয়ানা (Hariyana) সরকার। ফলত সকাল থেকেই রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পথচারী-সহ শতাধিক শ্রমিকেরা। বিক্ষোভের জেরে তীব্র যানজট দেখা দেয় রাস্তায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
ক্রমেই বাড়ছে সংক্রমণের মাত্রা। লকডাউনের কড়া বিধিতেও তা বাঁধ মানছে না। রাজ্যে আক্রান্তের পরিমাণ রোধ করতে শুক্রবার সকাল থেকেই দিল্লি-গুরগাঁও (Delhi-Gurugaon) সীমান্ত বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় হরিয়ানা সরকার। সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ বাধা দেওয়া হয় শ্রমিকদের। অথচ সেই সীমান্ত দিয়েই অবাধে প্রবেশ করছে গাড়ি! কোনওরকম পরীক্ষা ছাড়াই গাড়িগুলিকে দিল্লি থেকে হরিয়ানায় প্রবেশে অনুমতি দেওয়ার অভিযোগ করেন শতাধিক শ্রমিকেরা। ফলে প্রথমে রাস্তা আটকে অবরোধ, পরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। এরজেরেই দেখা দেয় তীব্র যানজট। শিকেয় ওঠে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিধি।পথচারীদের প্রশ্ন, সংক্রমণ রোধে হরিয়ানায় তাঁদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি হলেও কীকরে গাড়িগুলির প্রবেশে অনুমতি মিলছে? বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অধিকাংশই পরিযায়ী শ্রমিক বলে জানা যায়। সকালে বেশ কিছু সময় শ্রমিকরা রাস্তা আটকে রাখায় তীব্র যানজট দেখা দেয় দিল্লি-গুরুগ্রামের সংযোগকারী জাতীয় সড়কে। চরম বিশৃঙ্খল হয় পরিস্থিতি।
[আরও পড়ুন:ভাঙল সাম্প্রতিককালের সব রেকর্ড, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত সাড়ে সাত হাজার ছুঁইছুঁই]
লকডাউনের মধ্যে রাস্তায় ক্রমে ভিড় বাড়তে থাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আসরে নামেন পুলিশকর্মীরা। পরিযায়ী শ্রমিকদের বুঝিয়ে তাঁদের বিক্ষোভ থেকে বিরত করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তাঁরা। বিক্ষোভের প্রায় এক ঘণ্টা পর দিল্লি-গুরগাঁও সীমান্ত পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় হরিয়ানা সরকার। জরুরী পরিষেবা ছাড়া পথচারী-সহ প্রতিটি গাড়ির প্রবেশেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেন মনোহর লাল খট্টরের সরকার।
[আরও পড়ুন:‘সংক্রমণের আশঙ্কায় পরিযায়ী শ্রমিকদের দূরে সরানোর প্রবণতা দুঃখজনক’, টুইট রাজ্যপালের]
দিল্লি সীমান্ত অতিক্রম করে রাজ্যে মানুষের অবাধ প্রবেশকেই সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রধান কারণ হিসেবে নির্দেশ করেছেন হরিয়ানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল ভিজ (Anil Vij)। বৃহস্পতিবার তিনি জানান, “রাজধানী থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে বহু মানুষ রাজ্যে প্রবেশ করেছেন। ফলে রাজ্যে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গত সপ্তাহেই ফরিদাবাদে নতুন করে ৯৮ জন, ঝাল্লারে ৬, সোনিপাথে ২৭ ও গুরুগ্রামে ১১১ জনের শরীরে ভাইরাসের সন্ধান মেলে। তাই রাজ্যের হাই কোর্ট ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মিলিতভাবে দিল্লি-গুরুগ্রাম সীমান্ত বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়।” তবে কীভাবে দমন করা যাবে এই সংক্রমণ তা এখন অজানা দেশবাসীর।
The post সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কায় বন্ধ দিল্লি-গুরুগ্রাম সীমান্ত, বিক্ষোভে শামিল শতাধিক শ্রমিকেরা appeared first on Sangbad Pratidin.