সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিচের ভিডিওটি দেখলে শুধু অবাকই হবেন না, শিউরেও উঠবেন। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে যেখানে প্রাথমিক প্রোটোকল হিসেবেই শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা হচ্ছে, সেখানে কিনা মারণ ভাইরাসকে (Corona Virus) তাড়াতে ধর্মীয় উৎসবে একজোট হলেন হাজারো মানুষ। ভাইরাল ভিডিওতে গুজরাটের এই দৃশ্য দেখার পর সত্যিই প্রশ্ন ওঠে, আর কবে বুঝবে আমজনতা?
কেন সব ভক্তরা এক জায়গায় হয়েছেন, সে কারণ শুনতে আরও বিস্মিত হবেন। এঁদের উদ্দেশ্য করোনা দূর করার জন্য পুজো দেওয়া। হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। আহমেদাবাদের নাভপুরা গ্রামের মানুষের বিশ্বাস, একসঙ্গে বৈল্যদেব মন্দিরে গিয়ে পুজো দিলে দূর হবে করোনার প্রকোপ। সেই কারণেই শয়ে শয়ে মানুষ, বিশেষ করে মহিলারা মাথায় কলসি নিয়ে এগিয়ে চলেছেন মন্দিরের দিকে। ভিডিওতে যতটুকু ধরা পড়ছে, তাতে প্রায় কারও মুখেই মাস্ক নেই। গত তিন ৩ মে অর্থাৎ সোমবার এমনই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি হয়ে ছড়িয়ে পড়ে নেটদুনিয়ায়। আর তারপরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ প্রশাসন।
[আরও পড়ুন: অবিশ্বাস্য! একসঙ্গে ৯টি সন্তানের জন্ম দিলেন আফ্রিকার তরুণী]
কোভিডবিধি (COVID Protocols) ভেঙে এমন কাণ্ড ঘটানোর জন্য এখনও পর্যন্ত ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রামের প্রধানকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশের এক আধিকারিক জানান, এই গ্রামের বাসিন্দাদের বিশ্বাস, কলসিতে জল নিয়ে গিয়ে বৈল্যদেব মন্দিরে ঢাললে, ঈশ্বর সন্তুষ্ট হবেন এবং দেশ থেকে দূর হবে অতিমারীর কালো ছায়া। কিন্তু তেমনটা করতে গিয়ে যে তাঁরা কতখানি বিপদ ডেকে আনলেন, তা আন্দাজও করতে পারেননি। সানন্দ ডিভিশনের এসপি কেটি কমরিয়া বলেন, “কলসি মাথায় বহু মহিলা একজোট হয়েছিলেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করে। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন গ্রাম প্রধানও।”
ভারতীয় সংবিধানের ১৮৮ ধারা এবং বিপর্যয় মোকাবিলা আইন ও মহামারী আইন ভাঙায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।