সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরও এক নজির গড়ল ভারতীয় বায়ুসেনা। অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অরুণাচল প্রদশের টুটিং এয়ার স্ট্রিপে অবতরণ করল বায়ুসেনার সবচেয়ে বড় পণ্যবাহী বিমান ‘সি-১৭ গ্লোবমাস্টার’। চিন সীমান্তের খুব কাছেই এই অ্যাডভান্স ল্যান্ডিং গ্রাউন্ড তৈরি করে বায়ুসেনা। গত জানুয়ারি মাসেই ওই অঞ্চলে অনুপ্রবেশ করে লালফৌজ। তবে তাদের সেই চেষ্টা ভেস্তে দেয় ভারতীয় সেনা।
[মাঝারি মানের ছাত্র থেকে বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী- হকিংয়ের বিস্ময় জীবন]
সেনা সূত্রে খবর, টুটিংয়ে বিমান অবতরণ রীতিমতো ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। সংকীর্ণ উপত্যকায় ওই এয়ার স্ট্রিপকে ঘিরে রয়েছে উঁচু পাহাড়। ফলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা সেখানে অনেকটাই বেড়ে যায়। তবে পাইলটের দক্ষতা ও অত্যাধুনিক বিমানটির প্রযুক্তির দৌলতেই এই কাজটি সম্ভব হয়েছে। কৌশলগতভাবে এই সফলতা সেনাবাহিনীর কাছে অত্যন্ত সুখবর। অরুণাচলে লাগাতার চিনা সেনার আগ্রাসনের জবাবে স্বল্প সময়ে সেনা মোতায়েন করতে সাহায্য করবে সি-১৭ গ্লোবমাস্টার। টুটিংয়ে অবতরণ করার সময় এই বিমানটি প্রায় ১৮ টন ওজন বহন করছিল। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সেনা ও যুদ্ধের অস্ত্র বয়ে নিয়ে যেতে এই বিমানের জুরি মেলা ভার।
চিন সীমান্তে ৮টি ‘অ্যাডভান্স এয়ার স্ট্রিপ’ তৈরি করছে ভারতীয় বায়ুসেনা। টুটিং তার মধ্যে একটি। সেগুলি চালু হলে সেনার পক্ষে তা দারুণভাবে সহায়ক হয়ে উঠবে। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালেও অরুণাচলে অবতরণ করে সি-১৭ গ্লোবমাস্টার। ওই সময় বিমানটি নামে পশ্চিম সিয়াং জেলার মেচুকা ‘অ্যাডভান্স ল্যান্ডিং গ্রাউন্ড’-এ। অরুণাচল ও সিকিমে ক্রমশ আগ্রাসী হয়ে উঠছে চিন। দু’জায়গাতেই সীমান্তের ওপারে পরিকাঠামো মজবুত করে তুলেছে লালফৌজ। তাই সময় থাকতেই অরুণাচল ও সিকিমে ঘাঁটি মজবুত করছে ভারতীয় সেনাও।
গতবছর ডোকলামে মুখোমুখি দাঁড়ায় পরমাণু শক্তিধর দুই দেশ। প্রায় ৭০ দিনের অচলাবস্থার পর কূটনৈতিকভাবে সমাধান হয় সমস্যার। বিতর্কিত অঞ্চলে সড়ক নির্মাণের কাজ বন্ধ করে সেনা সরিয়ে নেয় চিন। তবে কয়েকদিন আগেই ওই অঞ্চলে ফের গতিবিধি বাড়িয়ে তুলেছে লালফৌজ। এমনটাই জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।
[রোহিঙ্গা গ্রামগুলিতে বার্মিজ সেনার ঘাঁটি, মিলছে ‘ষড়যন্ত্রের’ ইঙ্গিত]
The post নজির বায়ুসেনার, অরুণাচলে নামল সি-১৭ গ্লোবমাস্টার appeared first on Sangbad Pratidin.