সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হজরত মহম্মদকে নিয়ে মন্তব্য করে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের ভাবাবেগে তীব্র আঘাত হেনেছেন বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মা। যার জেরে তাঁকে বহিষ্কার করে বিজেপি। এই ইস্যুতে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েও কোনও লাভ হয়নি। নূপুরের গ্রেপ্তারির দাবি তুলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে আন্দোলন। বিক্ষোভ-প্রতিবাদের জেরে আগুন জ্বলছে ঝাড়খণ্ড, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, বাংলার একাধিক জায়গায়। এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতে এবার এই বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন তসলিমা নাসরিন। টুইটারে এমন অশান্তি ও হিংসার তীব্র নিন্দা করেছেন বাংলাদেশি লেখিকা।
বাংলাদেশে হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর হোক কিংবা কাশ্মীর ফাইলস ছবি ঘিরে বিতর্ক- যে কোনও ইস্যুতেই সোজাসাপটা কথা বলতে পছন্দ করেন তসলিমা। নির্ভয়ে জানান নিজের মতামত। পয়গম্বর বিতর্কেও (Prophet Remarks Row) তার ব্যতিক্রম হল না। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যে বিক্ষোভের আগুন জ্বলতে শুরু করেছে, তার সমালোচনাই করলেন লেখিকা। শুক্রবার টুইটারে তিনি লেখেন, “আজ হজরত মহম্মদ যদি বেঁচে থাকতেন, গোটা বিশ্বে মুসলিম সম্প্রদায়ের এমন পাগলামি দেখলে তিনিও চমকে যেতেন।” এই একটি বাক্যের মধ্য দিয়েই তসলিমা (Taslima Nasrin) বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন যে এ ধরনের হিংসাকে সমর্থন জানায় না ইসলাম।
[আরও পড়ুন: তিন মাসে সর্বোচ্চ দেশের করোনা সংক্রমণ, উদ্বেগ বাড়িয়ে অ্যাকটিভ কেস ছাড়াল ৪০ হাজার]
হজরত মহম্মদ নিয়ে মন্তব্য ইস্য়ুতে ভারতের নিন্দায় সরব হয়েছে ২০টি দেশ। এই বিতর্কের আঁচ ভারত ছাড়িয়ে গিয়ে পড়েছে বাংলাদেশেও। শুক্রবার সে দেশেও শুরু হয় প্রতিবাদ আন্দোলন। নূপুর শর্মাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে পথে নামেন হাজার হাজার মানুষ। ভারত সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে স্লোগান তোলেন বিক্ষোভকারীরা। এমনকী আগামী ১৬ জুন বাংলাদেশে ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচিও নিয়েছেন প্রতিবাদীরা। ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে ঢাকা ও অন্যান্য এলাকায়।
সব মিলিয়ে পরিস্থিতি রীতিমতো উত্তপ্ত। তবে গোটা দুনিয়ার মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ যেভাবে এই বিতর্কে আন্দোলনে নেমেছে, তা একেবারেই সমর্থন করছেন না তসলিমা নাসরিন।