সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সবার আগে দেশ। এই বার্তা দিয়ে আগেই তুরস্কের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যাবতীয় চুক্তি বাতিল করেছে নামকরা দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়। এবার সেই পথেই হাঁটল আইআইটি বম্বে। শনিবার ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে একথা জানানো হয়।
ভারত-পাক সংঘাতের মধ্যে পাকিস্তানকে সেনা ও যুদ্ধের রসদ দিয়ে সাহায্যের অভিযোগ উঠে তুরস্কের বিরুদ্ধে। এরই প্রতিবাদে তুরস্ককে বয়কটের দাবি জোরালো হয়। প্রতিবাদ জানিয়ে প্রথমে তুরস্কের ইনোনু বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি বাতিল করে দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়। জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও তুরস্কের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়। এবার সেই একই সিদ্ধান্ত নিল আইআইটি বম্বে।
দেশের প্রথমসারির এই প্রযুক্তি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছে, 'বর্তমানে তুরস্কের সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক বিবেচনা করে সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমস্ত চুক্তি বাতিল করা হল। পরবর্তী নোটিস না দেওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।'
অপারেশন সিঁদুরের পর পাক সেনাকে সহযোগিতা করার অভিযোগ ওঠে তুরস্ক সরকারের বিরুদ্ধে। ভারতের যাবতীয় সাহায্যের কথা ভুলে গিয়ে যুদ্ধের আবহে পাকিস্তানকে ড্রোন দিয়ে সাহায্য করে তুরস্ক সরকার। পাকিস্তানে সেনা পাঠানোর অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। এরপরই দেশের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে দেশের বেশিরভাগ বিমানবন্দরে নিযুক্ত তুরস্কের সংস্থা সেলেবির সঙ্গে যাবতীয় চুক্তি বাতিল করার কথা ঘোষণা করে ভারত সরকার। আর এবার সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গেও একের পর এক চুক্তি বাতিল করা শুরু হয়েছে।
