সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওয়াকিবহাল মহল বলছে, যোগী এফেক্ট। নাহলে এমনটা কোনও অপরাধী করে? একের পর এক পুলিশি এনকাউন্টারের সৌজন্যে ইতিমধ্যেই শিরোনামে উত্তরপ্রদেশ। অপরাধীদের যম হয়ে উঠেছে যোগীর পুলিশ, এমনটাই বলছেন বিদগ্ধজনেরা। তারই উদাহরণ ফের একবার পাওয়া গেল বিজেপি শাসিত রাজ্যে। সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, শামলি জেলার ঝিনঝানা থানায় এক খুনের অভিযুক্ত আত্মসমর্পণ করেছে। এনকাউন্টারের ভয়েই নাকি সে এ কাজ করেছে বলে জানা গিয়েছে। থানায় এসে সটান পুলিশ আধিকারিকদের কাছে করজোড়ে ক্ষমা চেয়ে সে জানিয়েছে, অপরাধ করার পর সে পালিয়ে গেলেও নিজের ভুল বুঝতে পেরে আত্মসমর্পণ করতে এসেছে। এনকাউন্টারে মারা পড়ার ভয়ে সে আত্মসমর্পণ করতে চায়। আর কোনও অপরাধ করবে না বলে প্রতিজ্ঞাও করে।
ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর অনেকেই যোগী প্রশাসনকে ধন্য ধন্য করছেন। আদিত্যনাথ ক্ষমতায় আসার পর অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড গঠন, গোয়েন্দাদের বাড়বাড়ন্ত, পুলিশের অতিসক্রিয়তা অপরাধীদের মনে ভীতি সঞ্চার করেছে। তবে বিরোধীদের অভিযোগ, পুলিশের এই অতিসক্রিয়তা ভুয়ো সংঘর্ষের প্রবণতা বাড়াবে। ইতিমধ্যেই ভুয়ো এনকাউন্টারের বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছে। গো-বলয়ে পুলিশি এনকাউন্টারের ভয়ে বহু কুখ্যাত অপরাধী সম্প্রতি এনকাউন্টারে মারা গিয়েছে। ভয়ে অনেকেই আত্মসমর্পণ করছে। সম্প্রতি কাইরানা শহরে দুই দাগী দুষ্কৃতী বুকে প্ল্যাকার্ড নিয়ে নগর পরিক্রমা করেছে। তাতে লেখা ছিল, তারা ক্ষমাপ্রার্থী এবং আর কোনওদিন অপরাধ করবে না। এরপর ভাল পথে রোজগার করে সমাজের মূলস্রোতে ফিরতে চায়। দুই দুষ্কৃতী সেলিম আলি ও ইরশাদ আহমেদের উপর একাধিক ডাকাতি ও খুনের অভিযোগ দায়ের ছিল। অনুমান, একের পর এক পুলিশি এনকাউন্টারের ভয়েই এমনটা করতে বাধ্য হয়েছে তারা।
[আফরাজুলকে মেরে আফসোস নেই, জেল থেকেই বিস্ফোরক ভিডিও শম্ভুলালের]
প্রসঙ্গত, চলতি মাসেই যোগীর রাজ্যে ২৫ দিনে ৬০টি এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটেছে। ৮টি মৃত্যু হয়েছে। যোগী আদিত্যনাথ মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে বসার পর ২০১৭ সালের ২০ মার্চ থেকে এবছর ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যে ১১৪২টি পুলিশি এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটেছে। যা রাজ্যে সর্বকালীন রেকর্ড।
[টাকা ফেরানোর রাস্তা বন্ধ করেছে পিএনবি, চিঠিতে দুষলেন নীরব]
The post যোগী এফেক্ট! থানায় এসে আত্মসমর্পণ এনকাউন্টারের ভয়ে কাঁটা অপরাধীর appeared first on Sangbad Pratidin.