সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল: ‘ইয়েহি সময় হ্যায়, সহি সময় হ্যায়, ভারত কা আনমোল সময় হ্যায়’, ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসের (Independence Day) মঞ্চে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দৃপ্ত কন্ঠে ঘোষণা করে দিলেন, ‘এটাই সময়, আর অর্ধেক বা অসম্পূর্ণ নয়, আমাদের পূর্ণতা পেতে হবে। ১০০ শতাংশে পৌঁছানোর লক্ষ্যমাত্র নিতে হবে। কোনওরকম ভেদাভেদ কিংবা দুর্নীতি ছাড়া ভারত সরকার যাতে ১০০ শতাংশ মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে।’
লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ঘোষণা করলেন,”গত সাতবছরে আমরা আগের তুলনায় অনেক বেশি এগিয়েছি। তবে, এখানেই শেষ নয়, আমাদের পূর্ণতার দিকে এগোতে হবে। একশো শতাংশ গ্রামে রাস্তা, একশো শতাংশ মানুষের স্বাস্থ্যবিমার কার্ড, একশো শতাংশ উজ্জ্বলার (Ujjwala Yojna) সংযোগ, সবার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকুক, সবার কাছে সুযোগ সুবিধা পৌঁছে যাক সেটা নিশ্চিত করতে হবে।” মোদির বক্তব্য, এর জন্য সময়সীমা বেশি দূরে রাখা যাবে না। কয়েক বছরের মধ্যেই এই স্বপ্ন সত্যি করতে হবে। আমি খুশি জল জীবন শুরুর কয়েক বছরের মধ্যেই সাড়ে সাত কোটি মানুষের ঘরে জল পৌঁছে যাচ্ছে। এই একশো শতাংশ টার্গেটের একটাই সুবিধা হল, এতে কেউ সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন না। দেশের প্রত্যেক নাগরিক যদি এই সুবিধা পায়, তাহলে কোনও বিভেদ কোনও দুর্নীতির সুযোগই থাকে না।” তবে মোদির বক্তব্য, এই ১০০ শতাংশের লক্ষ্যে পৌঁছানো সহজ নয়। সেজন্য প্রয়োজন শক্তি, প্রচেষ্টা এবং সকলের সর্বাঙ্গীন প্রয়াস। সেজন্য সবকা সাথ, সবকা বিকাশ এবং সবকা বিশ্বাসের পাশাপাশি সবকা বিকাশের আদর্শও জুড়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: Independence Day: আগামী ২৫ বছর ভারতের জন্য ‘অমৃতকাল’, টার্গেট বেঁধে দিলেন PM Modi]
মোদির আক্ষেপ, স্বাধীনতার এত বছর পরেও জ্বালানি তথা শক্তি উৎপাদন ক্ষেত্রে স্বনির্ভর নয় ভারত। তাই তাঁর ঘোষণা, স্বাধীনতার ১০০ বছর পূর্তিতে অর্থাৎ ২০৪৭ সালে ভারতকে শক্তি উৎপাদনের ক্ষেত্রেও স্বনির্ভরতার দিকে নিয়ে যেতে হবে। সেজন্য ‘গ্রিন হাইড্রোজেন মিশন’ ঘোষণা করেছেন মোদি। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী অনুধাবন করেছেন দেশের সুস্বাস্থ্যের জন্য নাগরিকদের পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার দেওয়া জরুরি। তাই এবার থেকে সরকার গরিবদের কাছে পুষ্টিগুণে উৎকৃষ্ট চাল পৌঁছে দেবে বলে ঘোষণা করেছেন তিনি। মোদির ঘোষণা, এখন থেকে সরকারি প্রকল্পে প্রাপ্ত সব চাল এবার থেকে পুষ্টিগতভাবে উন্নত করা হবে। ২০২৪ সালের মধ্যে কেন্দ্র দেশের সব নাগরিকের কাছে পুষ্টিগুণ সম্পূর্ণ চাল পৌঁছে দেবে।