সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যে কংগ্রেস এবং তৃণমূলের জোট সম্ভাবনায় কার্যত ইতি! তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, বাংলার ৪২ আসনে কোনওরকম সমঝোতা হবে না। তা সত্ত্বেও কংগ্রেসের (Congress) শীর্ষ নেতৃত্ব এতদিন আশায় ছিল। সূত্রের খবর, এবার এআইসিসিও তৃণমূলের সঙ্গে জোট আলোচনায় ইতি টানতে চলেছে।
সূত্রের খবর, এআইসিসি (AICC) সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে প্রকাশ্যে মমতার প্রতি যতই সুর নরম করা হোক না কেন, বাংলায় তৃণমূল এবং পাঞ্জাবে আপের (AAP) সঙ্গে আর কোনওরকম আলোচনা করা হবে না। এতদিন পর্যন্ত দিল্লি আশাবাদী ছিল, মমতা প্রকাশ্যে যতই একা লড়ার কথা ঘোষণা করুন, আলোচনার মাধ্যমে তৃণমূলের সঙ্গে আসন জট মেটানো সম্ভব। কিন্তু রাহুল গান্ধীর ‘ভারত ন্যায় যাত্রা’য় তৃণমূলের ‘অসহযোগিতা’ এআইসিসির সেই বিশ্বাস ভেঙে দিয়েছে।
[আরও পড়ুন: বাজেট অধিবেশনেই CAA লাগুর পরিকল্পনা! কোন পথে হাঁটছে কেন্দ্র?]
সূত্রের খবর, বাংলা এবং পাঞ্জাবে তৃণমূল এবং আপের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে ফেলেছে কংগ্রেস। অর্থাৎ রাহুলের যাত্রায় অসহযোগিতা এবং দফায় দফায় প্রতিবাদ, সংঘাতের পর কার্যত শেষ বাংলায় কংগ্রেস তৃণমূল আসন সমঝোতার সম্ভাবনা। এখানেই শেষ নয়, বুধবার থেকে যে সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হচ্ছে, সেখানেও তৃণমূল এবং কংগ্রেসের (Congress) দূরত্বের প্রভাব পড়তে চলেছে। সূত্রের খবর, সংসদে কংগ্রেসের থেকে দূরত্ব বজায় রাখবে তৃণমূলও। অর্থাৎ সরাসরি এর প্রভাব পড়তে ফ্লোর কো-অর্ডিনেশনে।
[আরও পডুন: আরএসএস নেতা খুনে পপুলার ফ্রন্টের ১৫ সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দিল কেরলের আদালত]
কংগ্রেস এবং তৃণমূলের জোট সম্ভাবনা যে ক্ষীণ হচ্ছে সেটা ফের বোঝা গিয়েছে বুধবার অধীর চৌধুরীর বক্তব্যে। এদিন আরও একবার রাজ্যের শাসকদলকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে তোপ দেগেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। অধীরের (Adhir Ranjan Chowdhury) বক্তব্য,”দুর্নীতিগ্রস্তকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলেছি। ভুল তো কিছু বলিনি। রাজ্যে চাকরিতে দুর্নীতি, শিক্ষকরা চাকরি থেকে বঞ্চিত, রেশনে জিনিস পাওয়া যাচ্ছে না। এসব বলার জন্য যদি রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রায় অনুমতি না দেওয়া হয়, আমার জন্য যদি রাহুলের সভার অনুমতি না দেওয়া হয়, তাহলে আমি সরে যাচ্ছি।” অধীরের বক্তব্যকে এদিন ঘুরিয়ে সমর্থন করেছেন এআইসিসির প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশও। তিনি বলেছেন, বক্তব্য দু দিক থেকেই এসেছে। কিছু বক্তব্য তৃণমূলের তরফে এসেছে। কিছু আমাদের তরফেও হয়েছে।” অর্থাৎ জোট ভাঙার দায় অধীরের একার নয় বলেই বোঝাতে চেয়েছেন জয়রাম।