সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোভিড টিকাকরণ (Covid-19 Vaccine) শুরুর মাত্র ১৮ মাসের মধ্যে রেকর্ড গড়ল ভারত। রবিবার ২০০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিনেশনের মাইল ফলক ছুঁল দেশ। রেকর্ড গড়ার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী-সহ দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
টুইটারে নরেন্দ্র মোদির বার্তা, “ভারত আবার ইতিহাস গড়ল। ২০০ কোটি ডোজ টিকাকরণ সম্পূর্ণ করায় দেশবাসীকে শুভেচ্ছা। যারা দেশের টিকাকরণকে অতুলনীয় গতিতে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন তাঁদের অভিনন্দন। কোভিডের বিরুদ্ধে বিশ্বের লড়াইকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে।” শুভেচ্ছা জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য।
[আরও পড়ুন: শুটআউটের দু’দিন পরও জগদ্দলে দোকান খুলতে বাধা, পালটা পথ অবরোধে ব্যবসায়ীরা]
২০২০ সালে বিশ্বজুড়ে করোনা দাপট দেখাতে শুরু করে। করোনা প্রতিরোধে মার্চ মাস থেকে দেশে লকডাউন জারি হয়। ২০২১ সালের ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশে করোনা টিকাকরণ শুরু হয়। প্রথম ধাপে ভ্যাকসিন পান স্বাস্থ্যকর্মীরা। ওই বছরই ১ ফেব্রুয়ারি থেকে টিকা পান স্বাস্থ্যকর্মী-সহ করোনা যুদ্ধের প্রথম সারির যোদ্ধারা। ১ মার্চ থেকে শুরু হয় ষাটোর্ধ্বদের ভ্যাকসিনেশন। একইসভঙ্গে ৪৫-৫৯ বছর বয়সিরা যাদের কো-মর্বিডিটি রয়েছে তাঁদের টিকাররণও শুরু হয়।
করোনা দাপট বাড়াতেই ১ এপ্রিল থেকে ৪৫ ঊর্ধ্ব সকলকে করোনা টিকা দেওয়া শুরু হয়। একমাসের মাথায় ১ মে থেকে ১৮ ঊর্ধ্ব সকলের টিকাকরণের অনুমতি দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। এদিকে করোনা ছোটদের শরীরেও থাবা বসাতে শুরু করে। প্রয়োজন হয়ে পড়ে তাদের টিকাকরণেরও।
অবশেষে ২০২২ সাল থেকে ১৮-র নিচে থাকা নির্দিষ্ট বয়সিদের টিকাকরণের অনুমতি দেয় মোদি সরকার। করোনা যোদ্ধাদের প্রিকশন ডোজের অনুমতিও দেওয়া হয়। পরে ১৮ ঊর্ধ্ব সকলকে বুস্টার ডোজের অনুমতি দেয় কেন্দ্র। কিন্তু বুস্টার ডোজে আগ্রহ ছিল না আমজনতার। চতুর্থ ঢেউ চোখ রাঙানো শুরু করতেই ফের গতি বাড়ে টিকাকরণের। গত ২৪ ঘণ্টা. ২৫ লক্ষেরও বেশি ভ্যাকসিনেশন হয়েছে দেশে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, টিকাকরণ শুরুর ৯ মাসের মধ্যে ১০০ কোটির গন্ডি পার করেছিল ভারত। পরের ৯ মাসে আরও ১০০ কোটি ডোজ সম্পূর্ণ হল দেশে।