সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিরাট অঙ্কের শুল্ক চাপিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার জেরে ধস নেমেছে শেয়ার বাজারে। ১৯ লক্ষ কোটি টাকা খুইয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। এতকিছুর পরেও আমেরিকার উপরে পালটা শুল্ক বসাতে নারাজ ভারত! সূত্রের খবর, আপাতত আমেরিকার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি করতে চাইছে ভারত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কেন্দ্র সরকারি আধিকারিককে উদ্ধৃত করে একটি রিপোর্ট পেশ করেছে সংবাদসংস্থা রয়টার্স। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, শুল্ক ঘোষণা করে যে এক্সিকিউটিভ অর্ডার সই করেছেন ট্রাম্প, সেই অর্ডারেরই একটি ধারাকে হাতিয়ার করতে চাইছে কেন্দ্র। শুল্ক নির্দেশিকায় ট্রাম্প বলেছিলেন, 'পারস্পরিক নয় এমন বাণিজ্য ব্যবস্থা শুধরে নিতে যেসব দেশ আগ্রহী, শুল্কযুদ্ধে তাদের বিশেষ ছাড় দেওয়া হবে।' এই ধারাকে কাজে লাগিয়েই লাগিয়েই কিছুটা সমঝোতার পথে হাঁটতে চাইছে ভারত।
সরকারি আধিকারিকের মতে, এশিয়ার অন্যান্য দেশের চেয়ে ভারতে অনেক কম হারে শুল্ক চাপানো হয়েছে। আপাতত সেটাকেই ইতিবাচক দিক হিসাবে দেখতে হবে। ভারতের উপর ২৬ শতাংশ কর চাপিয়েছে আমেরিকা। কিন্তু চিন, ভিয়েতনাম এবং ইন্দোনেশিয়ার ক্ষেত্রে সেই অঙ্কটা যথাক্রমে ৩৪%, ৪৬% এবং ৩২%। পালটা মার্কিন পণ্য়ের উপরে ৩৪ শতাংশ কর চাপিয়েছে চিন। কিন্তু ভারত সেরকম কোনও সিদ্ধান্ত নেবে না। মার্কিন পণ্যের উপর পালটা কর চাপানোর কোনও পরিকল্পনা নেই সরকারের।
তবে শুল্ক-বাণ নিয়ে মোদি সরকারের নমনীয় মনোভাবকে ইতিমধ্যেই তোপ দেগেছে বিরোধীরা। বৃহস্পতিবার লোকসভায় নিজের ভাষণে বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, "২৬ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে আমেরিকা। যা আমাদের অর্থনীতিকে ধ্বংস করবে, আমাদের শিল্পকে ধ্বংস করবে, বিশেষত ওষুধ শিল্পকে।" এরপর কংগ্রেস সাংসদ কেন্দ্রের কাছে জবাবদিহি চান। বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক নীতির মোকাবিলায় কী পদক্ষেপ করছে কেন্দ্র? এহেন পরিস্থিতিতেই সূত্র মারফত শোনা গেল, পালটা শুল্ক চাপানোর পরিকল্পনা নেই কেন্দ্রের। তবে সরকারিভাবে এখনও এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।