সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আশঙ্কা আগেই ছিল, শুক্রবার মিলল প্রমাণ! ভারতে হামলা ও নজরদারিতে তুরস্কের অস্ত্র ব্যবহার করছে পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার ভারতের দিকে ছোড়া ড্রোনের ধ্বংসাবশেষের ফরেন্সিকের প্রাথমিক পরীক্ষায় মিলল সেই প্রমাণ। শুক্রবার ভারতীয় সেনার সাংবাদিক সম্মেলন থেকে জানানো হল, তুরস্কের অ্যাসিসগার্ডের সোনগার ড্রোন ব্যবহারে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং জানান, লেহ থেকে স্যার ক্রিক লাইন পর্যন্ত অন্তত ৩৬ জায়গায় ড্রোন হামলার চেষ্টা চালায় পাকিস্তান। মনে করা হচ্ছে, এত ঘনঘন ড্রোন হামলার একটাই উদ্দেশ্য ছিল, ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম পরীক্ষা করা এবং নজরদারি চালানো। সশস্ত্র ইউএভি দিয়ে ভাটিন্ডার সেনাছাউনিতে হামলার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু তা ভেস্তে দেয় বাহিনী। কর্নেল সোফিয়া কুরেশি জানান, "ড্রোনের ধ্বংশাবশেষের ফরেনসিক পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, এগুলি তুরস্কের অ্যাসিসগার্ডের সোনগার।"
স্বাভাবিকভাবে পাকিস্তান তুরস্কের ড্রোন মারফত নজরদারি চালাচ্ছে, এই খবর সামনে আসতে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। কারণ পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুদ্ধের দুন্দুভি বেজে উঠেছে এশিয়ার মাটিতে। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলতে থাকা চরম উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির মাঝেই এবার করাচির বন্দরে ভেড়ে তুরস্কের যুদ্ধ জাহাজ। পাক নৌসেনার তরফে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়ে। জানানো হয়, দুই দেশের সামুদ্রিক সহযোগিতা জোরদার করতে তুরস্কের যুদ্ধজাহাজ টিসিজি বুয়ুকডা পাকিস্তানে এসেছে। এরপর এই ড্রোন হামলায় আঙ্কারার যোগ মিলতেই শোরগোল পড়েছে। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর তুরস্কের পাশে দাঁড়িয়ে বিপুল ত্রাণ পাঠিয়েছিল ভারত। কিন্তু দুর্দিনের বন্ধু ভারতের বিরুদ্ধে কৃতজ্ঞতা তো দূর, এখন ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে অস্ত্র যোগাচ্ছে তুরস্ক! উঠছে সেই প্রশ্ন।
