সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরও শক্তিশালী হল ভারতীয় সেনা। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দেশকে স্বাবলম্বী করতে আরও একধাপ এগোল প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও। এবার সেনার হাতে আসতে চলেছে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ‘অ্যান্টি-রেডিয়েশন’ মিসাইল। চলতি মাসেই সুখোই যুদ্ধবিমান থেকে সফলভাবে ছোঁড়া হয়েছে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি।
[চিন-পাকিস্তানের উপর নজর রাখতে মহাকাশে পাড়ি দিল ‘মাইক্রোস্যাট-আর’]
ডিআরডিও সূত্রে খবর, ১৮ জানুয়ারি ওড়িশার বালাসোর টেস্ট রেঞ্জ থেকে ‘অ্যান্টি-রেডিয়েশন’ মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ করা হয়। শত্রু সেনার মাটিতে মোতায়েন রাডার ও নজরদারির সরঞ্জাম ধ্বংস করাই এই মিসাইলের কাজ। প্রায় ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত নিখুঁতভাবে লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। বায়ুসেনার অত্যাধুনিক সুখোই-৩০এমকেআই যুদ্ধবিমানে থাকবে এই যুদ্ধাস্ত্র। যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুসেনার গতিবিধিতে নজর রাখতে ও ধেয়ে আসা মিসাইল ও জঙ্গিবিমান খুঁজে বের করতে রাডার অত্যন্ত জরুরি। ফলে রাডার ধ্বংস করে দিলে একপ্রকার ‘অন্ধ’ হয়ে যায় যে কোনও সেনা। এর আগে রাশিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে ব্রহ্মস সুপারসনিক মিসাইল বানিয়েছে ডিআরডিও। তবে এবারে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছে ‘অ্যান্টি-রেডিয়েশন’ মিসাইলটি। যা প্রযুক্তির দিক থেকে একটি বড়সড় পদক্ষেপ। বিশ্বের মুষ্টিমেয় দেশের কাছেই এই প্রযুক্তি রয়েছে। এছাড়াও বৃহস্পতিবার, নৌসেনার সঙ্গে বারাক মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ করে ডিআরডিও। ইজরায়েলের একটি সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরি করেছে ডিআরডিও। নৌসেনার যুদ্ধজাহাজে মোতায়েন করা হবে মিসাইলগুলি। আইএনএস চেন্নাই থেকে এই মিসাইলটি সফলভাবে ছোঁড়া হয়। প্রায় ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত যে কোনও বিমান বা শত্রুর মিসাইলকে মাঝ আকাশেই ধ্বংস করে দিতে সক্ষম বারাক। নৌসেনার রণতরীগুলির রক্ষাকবচ হিসেবে মোতায়েন করা হবে এই ক্ষেপণাস্ত্রটিকে।
উল্লেখ্য, আগ্রাসী চিন ও অস্থির পাকিস্তানকে নজরে রেখেই ভারতীয় সেনার আধুনিকীকরণে দ্রুত পদক্ষেপ করছে কেন্দ্র সরকার। সম্প্রতি ফ্রান্সের কাছ থেকে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার বিনিময়ে ৩ হাজার অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল ‘মিলান 2T ’ কেনার ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। সম্প্রতি এই নিয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে ভারতীয় সেনার কমপক্ষে ৭ হাজার অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল প্রয়োজন। থার্ড জেনারেশনের অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল সেনার হাতে আসার আগে আপাতত ‘মিলান 2T’ দিয়ে কাজ চালানো হবে। এছাড়াও একাধিক সামরিক চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে। সব মিলিয়ে আরও ঘাতক হয়ে উঠছে ভারতীয় সেনা।
[দেশের সুরক্ষায় প্রাণত্যাগ, মরণোত্তর অশোক চক্র সম্মান পাচ্ছেন প্রাক্তন জঙ্গি]
The post শত্রুকে ‘অন্ধ’ করতে ভারতীয় সেনার হাতে আসছে ‘অ্যান্টি-রেডিয়েশন’ মিসাইল appeared first on Sangbad Pratidin.