সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সৌদি আরবের (Saudi Arab) যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনের ভিসাকে ছাড়পত্র দেওয়ার বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদাহরণ দিয়েছিল আমেরিকা। এবার সেই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানাল নয়াদিল্লি। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী (Arindam Bagchi) যে বিবৃতি দিয়েছেন, তা থেকে পরিষ্কার, বিষয়টিকে ভাল চোখে দেখছে না ভারত।
ঠিক কী হয়েছিল? সম্প্রতি সৌদি আরবের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রসঙ্গে আমেরিকার তরফে যে বিবৃতি দেওয়া হয় তাতে মোদির (PM Modi) উল্লেখ ছিল। আসলে সলমনের বিরুদ্ধে অভিযোগ সাংবাদিক জামাল খাসোগ্গির হত্যা করার। কিন্তু এমন অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তাঁকে ভিসা দিয়েছিল আমেরিকা।
[আরও পড়ুন: ভারত জোড়ো যাত্রায় বিধায়ক দিব্যার কপালে চুম্বন রাহুলের! কটাক্ষ বিজেপির, পালটা নেত্রীর]
কেন ছাড় সলমনকে, এবিষয়ে বলতে গিয়ে মার্কিন বিদেশ দপ্তরের তরফে জানানো হয়, এই প্রথম আমেরিকা এমন করল না। এর আগে গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও হাইতির প্রেসিডেন্ট আরিস্টাইড থেকে জিম্বাবোয়ের প্রেসিডেন্ট মুগাবে কিংবা কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট কাবিলাকেও ছাড় দিয়েছিল আমেরিকা। একই ভাবে মোদিকেও তারা ছাড় দিয়েছিল। তাদের যুক্তি, ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গার তিন বছর পরে তাঁর ভিসায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। যা জারি ছিল ২০১৪ সাল পর্যন্ত। এই সময় মোদি দেশের প্রধানমন্ত্রী হলে তাঁকে আমেরিকায় আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
আর এই উদাহরণেই ক্ষুব্ধ কেন্দ্র। বিদেশমন্ত্রকের কথায় তারই প্রতিফলন। অরিন্দমের কথায়, ”সত্য়ি বলছি, আমার কাছে পরিষ্কার নয় ওই বিষয়ে বলতে গিয়ে মোদির প্রসঙ্গ টানার যৌক্তিকতা কী।” পাশাপাশি তাঁর দাবি, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে মোদিকে আমেরিকায় আমন্ত্রণের যে দাবি করছে মার্কিন বিদেশ দপ্তর, তা সঠিক নয়।
তবে সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, ”আমাদের দুই দেশের মধ্যে বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে, যা ক্রমেই বাড়ছে।” ভারত যে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করতে চায়, তাও জানিয়েছেন তিনি।