সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইজরায়েল ও প্যালেস্টাইন সংঘাত নিয়ে আরও একবার নিজেদের অবস্থান মনে করিয়ে দিল ভারত। মধ্যপ্রাচ্যের এই সমস্যা সমাধানে ও শান্তি বজায় রাখতে দ্বি-রাষ্ট্র তত্ত্বেই ভরসা রাখছে দিল্লি। পাশাপাশি গত দুমাস ধরে চলা হামাস বনাম ইজরায়েল যুদ্ধে গাজায় ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হয়েছে এবং আগামিদিনেও পাঠানো হবে। জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
ফিনান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Narendra Modi) বলেন, “আমরা ওই অঞ্চলের রাষ্ট্রনেতদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। শান্তির পথে এগোনর ক্ষেত্রে ভারতের যদি কিছু করণীয় থাকে তাহলে আমরা সবসময় তা করব।” একই সঙ্গে প্যালেস্টাইন সমস্যা সমাধানের পথ হিসাবে দ্বি-রাষ্ট্র তত্ত্বকেই আরও একবার তুলে ধরেছেন মোদি। এবং গাজায় (Gaza) মানবিক সহায়তা পাঠানোর পদক্ষেপকেও সমর্থন জানিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: মোদির বিরুদ্ধে প্রার্থী নীতীশ কিংবা প্রিয়াঙ্কা? প্রস্তাব ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে]
বিশ্লেষকদের মতে, আরব-ইহুদি সংঘাতে ভারতের জন্য অত্যন্ত জটিল সমীকরণ তৈরি হয়েছে। একদিকে ‘বন্ধু’ ইজরায়েল অন্যদিকে ‘সহযোগী’ ইরান-সহ গোটা মুসলিম বিশ্ব। কাউকেই দূরে ঠেলে দিতে চাইছে না দিল্লি। ফলে ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েও দ্বিরাষ্ট্র তত্ত্বেই জোর দিয়েছে মোদি সরকার। এই পন্থাতেই ইজরায়েল ও প্যালেস্টাইন সংঘাত স্থায়ীভাবে মেটাতে হবে বলে মনে করে ভারত।
কী এই দ্বি-রাষ্ট্র?
মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফেরাতে প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র গড়ার দাবি দীর্ঘদিনের। ইজরায়েলের (Israel) সঙ্গে দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের বিষয়টি নিয়ে আলোচনায়ও হয়েছে অতীতে। এরই মধ্যে উপসাগরীয় কয়েকটি দেশ ইজরায়েলের সঙ্গে কূটনেতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে। একই পথ অনুসরণ করতে যাচ্ছে মুসলিম বিশ্বের প্রধান চালিকাশক্তি সৌদি আরব। এক্ষেত্রে বরাবরের মতো মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
[আরও পড়ুন: তৃণমূলের সঙ্গে সম্মানজনক জোট হলে আপত্তি নেই, হাইকমান্ডকে জানাল প্রদেশ কংগ্রেস]
বলে রাখা ভালো, প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে ভারতের অবস্থান দীর্ঘদিনের। তবে হামাস বনাম ইজরায়েল যুদ্ধ আবহে ভারত ইহুদি দেশটির সমর্থনে থাকায় প্রশ্ন উঠেছিল এই অবস্থান নিয়ে। কিন্তু এই সংঘাতের মাঝেও যে স্বাধীন প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র গড়ার পক্ষেই রয়েছে দিল্লি। এই বিষয়ে গত নভেম্বর মাসে রাষ্ট্রসংঘে দাঁড়িয়ে ভারতের প্রতিনিধি সাফ বার্তা দিয়েছিলেন, ‘আমরা চাই স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের মর্যাদা পাক প্যালেস্টাইন।’