সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাহুল গান্ধীর ৪১ হাজারি টি-শার্ট পরা নিয়ে মন্তব্য করে বেশ ভালমতোই ফাঁপরে পড়েছে বিজেপি। একযোগে সব বিরোধী দল চেপে ধরছে গেরুয়া শিবিরকে। কংগ্রেস (Congress) তো বটেই এই ইস্যুতে নিয়মিত সরব হতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকেও। রাহুলের পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপি এবং আরএসএসকে (RSS) নিশানা করে শনিবার একাধিক টুইট করেছেন মহুয়া।
তৃণমূল সাংসদ শনিবারের এক টুইটে বলেছেন, বিজেপিকে (BJP) সত্যি সত্যিই পরামর্শ দিচ্ছি, সীমা ছাড়াবেন না। কারও ব্যক্তিগত পোশাক বা অন্য কিছু নিয়ে মন্তব্য করবেন না। বিজেপি সাংসদরা যেসব ঘড়ি, পেন, আংটি, জামাকাপড় ব্যবহার করেন, সেসব নিয়ে কথা বললে আপনারাই পার পাবেন না। আরেকটি টুইটে আবার তাঁর নিশানা ছিল আরএসএস। এবারে মহুয়া (Mohua Moitra) বলেন, “ব্যাগ বা টি-শার্টের কথা ভুলে যান। এমনিতেই ভারতীয়রা খাকি হাফপ্যান্টের মূল্য চোকাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে।” সদ্যই দলনেত্রীর কাছে ‘অতিসক্রিয়তা’ নিজে ধমক খেতে হয়েছে তৃণমূল সাংসদকে। তারপর মহুয়ার এই মন্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
[আরও পড়ুন: কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে স্বচ্ছতা ঘিরে সংশয়, শীর্ষ নেতৃত্বকে চিঠি থারুর-সহ ৫ সাংসদের]
তবে শুধু এই পোশাক বিতর্ক নয়, দিল্লির রাজপথের নাম বদলকে হাতিয়ার করেও বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ। শনিবার মহুয়া টুইটারে লেখেন, “অতএব, বিজেপির বাংলার ইনচার্জ এবার কর্তব্যরানি এক্সপ্রেসে শিয়ালদহ আসবেন এবং কর্তব্য কচুরী আর কর্তব্যভোগ খাবেন।” অর্থাৎ, তাঁর প্রশ্ন সবকিছু থেকে ‘রাজ’ শব্দটি বাদ দেওয়া হলে কী হবে এবং সেটা কতটা অবাস্তব সিদ্ধান্ত সেটা বোঝানোর চেষ্টা করেছেন মহুয়া।
[আরও পড়ুন: ভূমিপুত্র না হলে ভোটাধিকার নয়, সরব ফারুক আবদুল্লা, কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা]
সম্প্রতি রাজপথের নাম বদলে ‘কর্তব্যপথ’ করেছে কেন্দ্র। ৬ সেপ্টেম্বর কর্তব্যপথ ইস্যুতে টুইটে মহুয়া লেখেন, “আশা করি ওঁরা নতুন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের নাম বদলে কিংকর্তব্যবিমূঢ় মঠ করে দেবেন।” ব্রিটিশ জমানায় এডউইন লুটিয়েন্সের নকশা মতো সাজানো শুরু হয় নয়াদিল্লির প্রশাসনিক এলাকাকে। রাজধানীর সেই ঔপনিবেশিক রূপ পরিবর্তন করছে কেন্দ্র। সেন্ট্রাল ভিস্তা (Central Vista) প্রকল্পে তৈরি হচ্ছে নতুন সংসদ ভবনও। সেই পরিকল্পনা মতো রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ইন্ডিয়া গেট (India Gate) পর্যন্ত রাস্তার নাম দেওয়া হয়েছে কর্তব্য পথ। বৃহস্পতিবার সেই রাস্তার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রকল্প নিয়েই কেন্দ্রের পালটা সমালোচনা করছে বিরোধীরা।