সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৪ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার আগে কালো টাকার বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। দাবি করেছিলেন বিজেপি ক্ষমতায় এলে বিদেশে গচ্ছিত ভারতীয়দের কালো টাকা ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, বিদেশ থেকে টাকা ফেরা তো দূরের কথা, সুইস ব্যাংকে ভারতীয়দের জমার পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। মাত্র এক বছরে বিদেশের এই ব্যাংকে ভারতীয়দের গচ্ছিত টাকার অঙ্কটা প্রায় দেড়গুণ হয়ে গেল। বার্ষিক হিসেব বলছে ২০২১ সালে শুধু ভারতীয়দের জমা আমানতের পরিমাণ প্রায় ৩০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। যা কিনা গত ১৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
২০১৮ সালের শেষে সুইস ব্যাংকে ভারতীয়দের গচ্ছিত টাকার অঙ্ক ছিল ১২,৬১৫ কোটি টাকা। যা একধাক্কায় অনেকটা কমে যায় ২০১৯ সালে। ২০১৯ সালের শেষে সুইস ব্যাংকে (Swiss Bank) ভারতীয়দের আমানতের পরিমাণ ছিল ৮৯৯ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ। ভারতীয় মুদ্রায় ৬ হাজার ৬২৫ কোটি টাকা। সেখান থেকে ২০২০ সালে একলাফে এই আমানতের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ২০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। ২০২১ সাল অর্থাৎ করোনার বছর সেই টাকার অঙ্কটা রেকর্ড প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে। আপাতত অঙ্কটা ৩০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
[আরও পড়ুন: দেশজুড়ে বিক্ষোভের জের, সেনায় ‘অগ্নিবীর’ নিয়োগের নিয়মে বড়সড় বদল আনল কেন্দ্র]
প্রসঙ্গত, এই যে জমার হিসেব বলা হচ্ছে এটা সরকারি হিসেবে। এর বাইরেও ডামি অ্যাকাউন্ট বা ডামি সংস্থার মাধ্যমে অনৈতিকভাবে বহু ভারতীয় সুইস ব্যাংকে টাকা রাখেন। আবার এদের বাইরে প্রবাসী ভারতীয়রা বৈধ ভাবেও সেখানে টাকা রাখেন। সুতরাং এই হিসেব দেখে কালো টাকার (Black Money) পরিমাণ জানা অসম্ভব। তবে, সুইস ব্যাংকে কোন কোন ভারতীয়দের অ্যাকাউন্ট আছে, কারা কারা কত অর্থ জমা রেখেছেন,সে হিসেব কেন্দ্রকে অনেক আগেই তুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
[আরও পড়ুন: মা হাসপাতালে, ইডির কাছে সোমবার পর্যন্ত ‘ছুটি’ চাইলেন রাহুল গান্ধী]
বিশ্বের ৮৬টি দেশের নাগরিকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে সেই দেশের সরকারকে জানায় সুইস ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। কোন কোন দেশের নাগরিক ওই ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলেছে, সে সম্পর্কে তথ্য দেয় সুইজারল্যান্ড ফেডারেল ট্যাক্স অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। এই তালিকায় রয়েছে ভারতও।