সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্চ পর্যন্ত গত আর্থিক বর্ষে দেশের বিদ্যুতের (Electricity) চাহিদা ৩৫ বছরে সব থেকে কম ছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) একটি রিপোর্ট বিশ্লেষণ করে জানা গিয়েছে ২০২০-২০২১ অর্থবর্ষে ০.২ শতাংশ কমেছে বিদ্যুতের চাহিদা। কেন এই চাহিদা কমেছে তার কারণও বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
মার্চে শেষ হওয়া ২০২০-২০২১ অর্থবর্ষে (fiscal year) বিদ্যুতের চাহিদার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে তার আগের বছরের চাহিদার। সেখানেই দেখা গিয়েছে উৎপাদনের তুলনায় বিদ্যুতের চাহিদা কমেছে। গত ৩৫ বছর ধরে যেখানে চাহিদা বেড়েই চলছিল, সেখানে করোনার কারণে তৈরি হওয়া অভূতপূ্র্ব পরিস্থিতি এবং তার জন্য দেশজুড়ে জারি করা লকডাউনে কলকারখানা প্রায় সব বন্ধ ছিল। সে কারণেই বিদ্যুতের চাহিদা নেমে যায়। মার্চ থেকে আগস্ট পর্যন্ত চলে চাহিদার এই নিম্নগামিতা।
[আরও পড়ুন: বিজেপি প্রার্থীর গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর-ইটবৃষ্টি, কেশপুরে ধুন্ধুমার]
লকডাউনে গোটা দেশজুড়ে শুধু কলকারখানাই নয়, বেশির ভাগ ছোট বড় অফিস এমনকী ট্রেন পরিষেবাও বন্ধ ছিল। ফলে বিদ্যুতের চাহিদা অনেকটা কমে যায়।
লকডাউন ওঠার পর থেকে আবার বিদ্যুতের চাহিদা ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। ছোট বড় শিল্প, কলকারখানা, অফিস এবং আংশিক ট্রেন চলাচল শুরু হয়। আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হচ্ছিল সাধারণ জনজীবন। তার পর থেকেই বিদ্যুতের চাহিদা বাড়তে শুরু করেছে। এখন ট্রেন পরিষেবা মোটের উপর স্বাভাবিক। এবার মার্চ মাসেই আবার উত্তর ভারত জুড়ে গরম বাড়তে শুরু করেছে। ফলে এসি ব্যবহার বাড়ছে বাড়িতে বাড়িতে। সেই কারণে বেড়ে চলেছে বিদ্যুতের চাহিদাও। সব মিলিয়ে গত বছর মার্চে বিদ্যুতের যা চাহিদা ছিল তার থেকে এই মার্চে আবার বিদ্যুতের চাহিদা যথেষ্ট বেশি থেকেছে। তার আরও একটা কারণ মার্চের শেষ সপ্তাহেই লকডাউন হয়ে যায় গোটা দেশে। গত মার্চের থেকে এ বছর মার্চে বেশি ছিল চাহিদা।