সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টানা সাতদিন ধরে অচলাবস্থা। সোমবারও বাতিল হল ইন্ডিগোর অন্তত সাড়ে তিনশো উড়ান। জানা গিয়েছে, সোমবার সকালেই দেশজুড়ে এই বিরাট সংখ্যক বিমান বাতিল করে দিয়েছে উড়ান সংস্থাটি। কর্তাদের দাবি ৯৫ শতাংশ পরিষেবা স্বাভাবিক। কিন্তু বাস্তব ছবিটা একেবারে উলটো। টানা সাতদিন ধরে তুমুল হয়রানির শিকার যাত্রীরা।
সোমবার দিল্লি থেকে ১৩৪টি বিমান বাতিল করেছে ইন্ডিগো। বেঙ্গালুরু থেকে ১২৭ এবং চেন্নাই থেকে ৭১টি উড়ান বাতিল হয়েছে। কলকাতা, মুম্বই, আহমেদাবাদ, ভাইজ্যাগ-একাধিক বিমানবন্দর থেকেই উড়ছে না ইন্ডিগোর বহু বিমান। সবমিলিয়ে সোমবার সকালে ইন্ডিগো বিমান বাতিলের সংখ্যা ৩৬০। তবে গত কয়েকদিনের তুলনায় সোমবারের অবস্থা কিছুটা ভালো। শুক্র-শনিবারে হাজারেরও বেশি উড়ান বাতিল হয়েছিল। রবিবার বাতিল হয় ৬৫০টি বিমান।
ইন্ডিগো জট কাটাতে অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী রামমোহন নায়ডু ইতিমধ্যেই ইন্ডিগোর শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেই বৈঠকের পরই অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক শীর্ষস্তরের গাফিলতির সম্ভাবনা দেখছে। ডিজিসিএ প্রাথমিকভাবে মনে করছে, কেন্দ্রের নতুন বিধি আগে থেকেই সংস্থাকে জানানো হয়েছিল। সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল ইন্ডিগোর। কিন্তু সংস্থা সেটা করেনি। সেকারণেই এই অব্যবস্থা এবং মানুষের ভোগান্তি। কেন আগে থেকে পর্যাপ্ত বন্দোবস্ত করা হল না? প্রশ্ন তুলে ইন্ডিগোকে নোটিস দিয়েছে ডিজিসিএ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিইও-কে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
যদিও নিজেদের গাফিলতি মানতে নারাজ উড়ান সংস্থা। তাদের দাবি, মোটামুটিভাবে ৯৫ শতাংশ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পরিষেবা পুরোপুরি আগের মতো স্বাভাবিক হবে। তবে বাস্তবের ছবিটা এখনও পালটায়নি। অন্যদিকে, ইন্ডিগোর অব্যবস্থা নিয়ে সরব হয়েছে কংগ্রেস। হাত শিবিরের দাবি, মোটা অঙ্কের নির্বাচনী চাঁদা পেয়েই ইন্ডিগো নিয়ে নীরব ছিল কেন্দ্র। শুধু চাঁদার জন্য যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে আপস করতেও পিছপা হয়নি মোদি সরকার।
