সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মন্দিরের ছাদ ভেঙে কুয়োয় পড়ে মৃত্যু হয়েছিল ৩৬ ভক্তের। এই ঘটনার পরে ওই মন্দিরের একাংশ বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দিল স্থানীয় প্রশাসন। সোমবার সকালে বিশাল পুলিশবাহিনীর উপস্থিতিতেই মন্দিরের বেআইনি নির্মাণগুলি ভেঙে ফেলে ইন্দোর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন। প্রসঙ্গত, রামনবমীতে দুর্ঘটনার পরেই মন্দিরের নির্মাণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন সেখানকার প্রধান পুরোহিত।
ইন্দোরের (Indore Temple) বিখ্যাত বেলেশ্বর মহাদেব ঝুলেলাল মন্দিরে রামনবমী উপলক্ষে প্রচুর মানুষ ভিড় জমান। মন্দিরের ভিতরে একটি প্রাচীন কুয়ো রয়েছে। কিন্তু পরে সেই কুয়োর উপরে একটি ছাদ তৈরি করা হয়। সেই ছাদের উপরেই অনেকে দাঁড়িয়েছিলেন। ভিড়ের চাপেই ছাদটি ভেঙে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে কুয়োর মধ্যে তলিয়ে যান বহু ভক্ত। মৃত্যু হয় ৩৬ জনের।
[আরও পড়ুন: ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী চাই’, রিষড়ায় অশান্তির পর রাজ্যপাল ও শাহকে চিঠি আক্রান্ত বিজেপি বিধায়কের]
দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেই সঙ্গেই মন্দিরের প্রধান পুরোহিত লক্ষ্মীনারায়ণ শর্মা বলেন, শক্তপোক্ত ভিত না গড়েই কুয়োর উপর ছাদ বানানো হয়েছিল। ফলে প্রশ্ন ওঠে, কেন একসঙ্গে প্রচুর ভক্তকে মন্দিরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হল? মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা ট্রাস্টির দুই সদস্যের বিরুদ্ধে এফআইআরও দায়ের করা হয়।
তদন্তের পরে জানা যায়, প্রায় ৪০ বছর আগে এই ছাদ তৈরি হয়েছিল। গতবছরই স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছিল, এই ছাদটি বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। অবিলম্বে ভেঙে ফেলা উচিত। কিন্তু ট্রাস্টি সদস্যদের বিরোধিতায় তা সম্ভব হয়নি। তবে সোমবার বিশাল পুলিশবাহিনীর উপস্থিতিতে ভেঙে দেওয়া মন্দিরের একাংশ। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লাগার সম্ভাবনা ছিল, সেই জন্যই বিশাল বাহিনী মোতায়েন করা হয়। তবে শান্তিপূর্ণ ভাবেই কাজ চলছে বলে জানা গিয়েছে।