সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্তন চেপে ধরা বা পাজামার দড়ি টেনে ধরা ধর্ষণের চেষ্টা নয়। এলাহাবাদ হাই কোর্টের সেই বিতর্কিত রায়ে স্থগিতাদেশ দিল শীর্ষ আদালত। এই মামলার পর্যবেক্ষণে বিচারপতি বিআর গবই এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহের বেঞ্চ জানায়, হাই কোর্টের বিচারপতির ওই রায় অত্যন্ত 'অসংবেদনশীল ও অমানবিক'।

সম্প্রতি এলাহাবাদ হাই কোর্টের বিচারপতি রাম মনোহর নারায়ণ মিশ্রার বেঞ্চ এক পর্যবেক্ষণে জানায়, স্তন খামচে ধরা এবং পাজামার ফিতে খুলে ফেলা ধর্ষণ কিংবা ধর্ষণের চেষ্টা নয়, সেটা শারীরিক নিগ্রহ। এই রায়ের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে পদক্ষেপ নেয় শীর্ষ আদালত। বিচারপতি গবৈ-এর বেঞ্চ জানায়, "হাই কোর্টের এই রায়ে আমরা অত্যন্ত ব্যথিত। এই ধরনের রায়ে সংবেদনশীলতার অভাব রয়েছে। এই রায় তাৎক্ষণিকভাবে নেওয়া হয়নি। অন্তত চার মাস পর এই রায় প্রকাশ করা হয়েছে। সমস্ত দিক বিবেচনা করে আমরা আপাতত এই রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দিচ্ছি।" একইসঙ্গে বিচারপতি গবৈ জানান, "বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর। এই মামলায় বিচারপতি সম্পূর্ণ অসংবেদনশীলতার কাজ করেছে। বিচারপতি সম্পর্কে এমন কঠোর শব্দ ব্যবহারের জন্য আমরা দুঃখিত।" শীর্ষ আদালতের এই পর্যবেক্ষণকে সমর্থন জানিয়ে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, "কিছু রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।"
উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশের কাশগঞ্জে ১১ বছরের নাবালিককে ধর্ষণের চেষ্টার মামলায় এলাহাবাদ হাই কোর্টের বিচারপতি রাম মনোহর নারায়ণ মিশ্রার বেঞ্চ জানায়, স্তন খামচে ধরা এবং পাজামার দড়ি খুলে ফেলা ধর্ষণ কিংবা ধর্ষণের চেষ্টা নয়। আদালত সূত্রের খবর, ২০২১ সালে কাশগঞ্জে এক নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে দুই যুবকের বিরুদ্ধে। তারা নাবালিকাকে ভুলিয়ে রাস্তায় কালভার্টের কাছে টানতে টানতে নিয়ে যায়। এরপর স্তন খামচে ধরে এবং পাজামার দড়ি খুলে ফেলে। নাবালিকার চিৎকারে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। তখনই ছুটে পালিয়ে যায় দুই অভিযুক্ত। সেই মামলায় এবার হাই কোর্টের বিচারপতির নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।