সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, এই কারণ দেখিয়ে বিরোধীরা যখন নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন বয়কট করেছে, তখনই একপ্রকার বোমা ফাটালেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা তথা ডেমোক্র্যাটিক আজাদ পার্টির সুপ্রিমো গুলাম নবি আজাদ (Ghulam Nabi Azad)। তাঁর দাবি, সংসদ ভবন নতুন করে গড়া হোক, সেটা চাইছিলেন এক কংগ্রেসি প্রধানমন্ত্রীই। আজাদ বলছেন, নতুন সংসদ ভবন তৈরির পরিকল্পনা প্রথম করেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসিমা রাও (PV Narasimha Rao)।
আজাদ বলছেন, “নরসিমা রাও যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, শিবরাজ পাটিল ছিলেন স্পিকার। আমি তখন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী। শিবরাজজিই আমাকে বলেছিলেন, ২০২৬ সালের আগে সংসদের একটা বড় এবং নতুন ভবন তৈরি হওয়া দরকার।” প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা জানিয়েছেন, “সংসদ ভবন নতুন করে তৈরি হওয়াটা ভাল কাজ। আমি খুশি এটা হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না মমতা, মোদি সরকারের সঙ্গে সংঘাত আরও তীব্র!]
২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে সেট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের অধীনে নতুন সংসদ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। প্রায় ৯৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২২৪ আসন বিশিষ্ট সংসদ ভবনটি তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে ইতিমধ্যেই এই নতুন সংসদ ভবনের অন্দরসজ্জার ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। ৮৮৮টি আসন বিশিষ্ট লোকসভার অন্দরসজ্জার থিম জাতীয় পাখি ময়ূর। আবার ৩৮৪টি আসন বিশিষ্ট রাজ্যসভার অন্দরসজ্জা করা হয়েছে পদ্ম থিমের উপরে। আগামী ২৮ মে রবিবার উদ্বোধন হবে সংসদের নতুন ভবনের। কেন্দ্রের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল ঐতিহাসিক ভবনটির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু বিরোধীদের দাবি, প্রধানমন্ত্রী নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করতে পারেন না। এটা করার অধিকার রয়েছে রাষ্ট্রপতির। বুধবার সম্মিলিতভাবে ১৯টি বিরোধী দল সেই অনুষ্ঠান বয়কট করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। এই তালিকায় কংগ্রেস (Congress), তৃণমূল (TMC) ছাড়াও আপ, শিব সেনা (উদ্ধব শিবির), আরজেডি, জেডিইউ, ডিএমকে, এনসিপি, সিপিআইএম-সহ তামাম বিরোধী দল রয়েছে।
[আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার এগরার খাদিকুলে যাচ্ছেন মমতা! দেখা করতে পারেন নিহতদের পরিবারের সঙ্গে]
আজাদ বলছেন, সংসদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান কেউ বয়কট করতেই পারেন। কিন্তু যারা বয়কট করছেন, তাদের এর কারণও ব্যাখ্যা করতে হবে। প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ তথা ডেমোক্র্যাটিক আজাদ পার্টির সুপ্রিমোর বক্তব্য, সংসদের নতুন ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কটের সিদ্ধান্ত সাংসদদের নিজস্ব। উদ্বোধনের বিষয়টি পদ্ধতিগত ব্যাপার। কিন্তু, কেউ যদি বয়কট করেন, তাহলে তাঁকে এর কারণ ব্যাখ্যা দিতে হবে।