সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জি-২০ বৈঠকে সীমান্ত সংঘাতের ছায়া। কূটনৈতিক সৌজন্য বজায় রেখেও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ‘অস্বাভাবিক’ পরিস্থিতি নিয়ে চিনের বিদেশমন্ত্রী কিন গ্যাংকে কড়া বার্তা দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর।
ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে এবছর জি-২০ গোষ্ঠীর সভাপতি পদে বসেছে ভারত। গতকাল, বৃহস্পতিবার দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয় জোটের বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠক। সেখানে হাজির ছিলেন আমেরিকার বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ, ব্রিটেনের বিদেশসচিব জেমস ক্লেভারলিও চিনের বিদেশমন্ত্রী কিন গ্যাং-সহ অনেকেই। ওই বৈঠকের ফাঁকেই চিনের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা সারেন জয়শংকর।
[আরও পড়ুন: গেরুয়া বসন, সোনার গয়নায় সজ্জিত কৈলাস রাষ্ট্রের প্রতিনিধি, কে এই মা বিজয়প্রিয়া নিত্যানন্দ?]
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের জয়শংকর বলেন, “চিনের বিদেশমন্ত্রী পদে বসার পর তাঁর সঙ্গে এটাই আমার প্রথম বৈঠক। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় শান্তি বহাল রাখা এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের চ্যালেঞ্জ নিয়েই আমাদের কথা হয়েছে। আপনারা জানেন, আমি আগেও বলেছি আমাদের সম্পর্ক (ভারত-চিন) স্বাভাবিক নয়। আলোচনায় আমি খোলাখুলি ভাবেই এই সমস্ত কথা বলেছি। সীমান্তের পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক না হলে ভারত-চিন সম্পর্কে স্থায়ী শান্তি আসবে না। আমরা আমাদের অবস্থানেই রয়েছি। চিন যদি সীমান্তে শান্তি বিঘ্নিত করে তবে তা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলবে। আমাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক নয়। “
উল্লেখ্য, লাদাখের গালওয়ান (Galwan) উপত্যকার ২০২০-র জুনের রক্তাক্ত স্মৃতি এখনও ফিকে হয়নি। সেই সময় থেকেই হট স্প্রিংয়ের পেট্রোল পয়েন্ট ১৫ থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যে দুই দেশের প্রায় সেনা মোতায়েন রয়েছে। এর আগে একাধিক আলোচনার মাধ্যমে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় একাধিক ফ্ল্যাশপয়েন্টগুলি থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছে দুই দেশ। সমঝোতা মোতাবেক অস্থায়ী পরিকাঠামো সরিয়েছে দুই সেনাই। কিন্তু হট স্প্রিং, গোগরা ও দেপসাং সমতলে সমস্যা এখনও মেটেনি। ফলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা যে কার্যত বারুদের স্তুপের উপর রয়েছে তা স্পষ্ট।