মাসুদ ওয়াফাই, শ্রীনগর: জম্মুর (Jammu & Kashmir) আকাশে ফের দেখা মিলল সন্দেহজনক ‘পাক’ ড্রোনের। এবার ঘটনাস্থল কানাচক। ওই ড্রোনের সাহায্যে নজরদারি চালানো হচ্ছিল। গুলি করে ড্রোনটিকে নামানো হয়। প্রায় পাঁচ কেজি আইইডি উদ্ধার করা হয়েছে। তার ফলে ব্যর্থ বড়সড় নাশকতার ছক। এদিকে, সোপোরে রাতভর গুলির লড়াই ২ জন লস্কর-ই-তৈবা কমান্ডার নিকেশ। উদ্ধার অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সোপোর (Sopore) পুলিশের কাছে খবর আসে ওয়ারপোড়ায় বেশ কয়েকজন জঙ্গি ঘাঁটি গেড়েছে। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে তৎপরতা শুরু হয়। ওই এলাকায় গিয়ে পৌঁছয় পুলিশ। এদিকে, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে যায় জঙ্গিরা (Terrorist)। অতর্কিতে গুলি চালাতে শুরু করে তারা। পালটা জবাব দেয় পুলিশও। রাতভর গুলির লড়াইয়ের পর ঘটনাস্থল থেকে দু’জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। গুলির লড়াইতে তারা নিকেশ হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। ওই দু’জন লস্কর-ই-তৈবার কমান্ডার (LeT commander)। একজনের নাম ফায়াজ ওয়ার। তবে আরেকজনের নাম এখনও জানা সম্ভব হয়নি। নিকেশ হওয়া ওই দুই জঙ্গির কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণ অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র এবং বিস্ফোরক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৫০ ডিগ্রি, ‘নকল’ বৃষ্টিতে ভিজল দুবাই! ভিডিও ভাইরাল]
এই ঘটনার ঠিক পরেই শুক্রবার ভোরে কানাচক (Kanachak) এলাকায় ফের দেখা মিলল সন্দেহজনক ড্রোনের। সীমান্ত থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে এসেছিল ড্রোনটি (Drone)। বিষয়টি জানাজানি হওয়া মাত্রই গুলি করে ড্রোনটিকে নিচে নামানো হয়। প্রায় পাঁচ কেজি আইইডি (IED) বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। লস্কর-ই-তৈবা বড়সড় হামলার ছক কষেছিল বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ড্রোনটিকে গুলি করে নামানোর ফলে সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ হল, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এই ঘটনার আগে গত ২৭ জুন জোড়া বিস্ফোরণে জম্মু বিমানবন্দরের এয়ারফোর্স স্টেশন কেঁপে ওঠে। প্রথমবার ভারতীয় সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালাতে ব্যবহৃত হয় ড্রোন। তারপর থেকে একাধিকবার জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন প্রান্তে দেখা মিলেছে সন্দেহজনক ড্রোনের।