সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রত্যাশা ছিল হুঙ্কারের। দিনের শেষে তা নেহাত ফিসফাসে পর্যবসিত হল। দিল্লিতে জিগনেশ মেওয়ানির শো কার্যত ফ্লপই হল। মুষ্টিমেয় কয়েকজন অনুগামী ছাড়া সেভাবে কারও উপস্থিতি চোখেই পড়ল না।
[ ‘সাংবাদিক নয়, গ্রেপ্তার করা উচিত আধার কর্তৃপক্ষকে’ ]
গুজরাট নির্বাচনে বড় জয়। তরুণ নেতা হিসেবে উত্থান। তারপই দিল্লিতে যুব হুঙ্কার ব়্যালির আয়োজন করেছিলেন এই দলিত নেতা। তরুণ নেতা দেশের যুব প্রজন্মের কণ্ঠস্বর তুলে ধরবেন, এমনটাই প্রত্যাশা ছিল। তাঁদের নিশানায় ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যদিও পুলিশ গোড়া থেকেই এই ব়্যালির অনুমতি দেয়নি। তবে যাতে কোনও বিশৃঙ্খলা দেখা না দেয়, তার জন্য কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল। আখেরে দেখা গেল অনুগামীর থেকে নিরাপত্তাকর্মীর সংখ্যাই বেশি। কয়েক হাজার নিরাপত্তকর্মী মোতায়েন করা হয়েছিল এই উপলক্ষে। ভিড় হটাতে জল কামানের ব্যবস্থাও ছিল। আয়োজন কম ছিল না। কিন্তু কার্যত দেখা গেল শ-তিনেকের বেশি জমায়েতই হয়নি। তার মধ্যে মুষ্টিমেয় ছিলেন জিগনেশের অনুগামী। বাকি সংবামধ্যমের লোক ও অন্যান্যরা। যে মাত্রায় হুঙ্কার ছড়ানোর কথা ছিল, বাস্তবে তার কিছুই হল না।
[ OMG! সিগারেট-বিড়ির নেশায় বুঁদ ভেড়াও! ]
তরুণ নেতার জনসমর্থনে কি তাহলেই এখনই টান পড়ল? নাকি পুলিশের ভয়েই এই পরিস্থিতি? আপাতত তা নিয়ে মুখ খুলতে রাজি নন জিগনেশ। তবে এই আসর থেকেই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন গুজরাটের নবনির্বাচিত বিধায়ক। জানান, দুর্নীতি, দারিদ্র ও কর্মসংস্থানের অভাবের মতো বিষয়গুলো ক্রমাগত চেপে দেওয়া হচ্ছে। বদলে গরু ও লাভ জেহাদের মতো বিষয়গুলিকে তুলে ধরা হচ্ছে। সরকারি এই নীতির বিরোধিতা করছেন বলেই জানান জিগনেশ। পাশাপাশি ২ কোটি তরুণের কর্মসংস্থানেরও দাবি করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই তাঁরা এই ব়্যালি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সরকার তাঁদের টার্গেট করেছে। একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির যেভাবে বাকরোধ করা হল তা দুর্ভাগ্যজনক, সাফাই জিগনেশের। যদিও এদিনের প্রায় জনশূন্য ব়্যালির পর জিগনেশের জনপ্রিয়তাও খানিকটা প্রশ্নের মুখে পড়ল। গুজরাটে দলিত সমীকরণ যে দিল্লির মাটিতে হোঁচট খেল, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
[ গীতার দাম ৩৮ হাজার টাকা, অতিথি আপ্যায়নে ‘কীর্তি’ হরিয়ানা সরকারের ]
The post দিল্লিতে জিগনেশের ‘ফ্লপ শো’, ভাঙা আসর থেকেই তোপ মোদিকে appeared first on Sangbad Pratidin.