সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তামিলনাডুর (Tamil Nadu) বিধানসভা নির্বাচনকে ঘিরে ক্রমেই সরগরম হয়ে উঠছে ভোট আবহ। সোমবারই অভিনয় থেকে রাজনীতির আঙিনায় পা রাখা কমল হাসান (Kamal Hasan) ঘোষণা করেছেন, তাঁর দল MKM নির্বাচনে ১৫৪টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। এদিকে এমকে স্ট্যালিনের (M. K. Stalin) ডিএমকে’র (DMK) সঙ্গে সিপিএমের (CPM) আসন রফাও হয়ে গিয়েছে। ছ’টি আসন সিপিএমকে ছাড়ছে ডিএমকে।
আগামী মাসেই তামিলনাড়ুতে বিধানসভা নির্বাচন। ২৩৪ আসনের নির্বাচনে ১৫৪টি আসনেই প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন দাক্ষিণাত্যের মেগাস্টার কমল হাসান। তাঁর দল ‘মাক্কাল নিধি মাইয়াম’ ছাড়া তাদের বাকি দুই জোটসঙ্গী এআইএসএমকে ও আইজেকে লড়বে ৪০টি করে আসনে। সোমবার রাতে কমলের দলের তরফে এই ঘোষণা করা হয়। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে ৪ শতাংশ ভোট পেয়েছিল কমল হাসানের দল। এদিকে ডিএমকে সদর দপ্তরে আলোচনায় বসে ডিএমকে ও সিপিএম। সিপিএমের দাবি ছিল বারোটি আসন। পরে তারা ডিএমকে নেতৃত্বকে জানায়, অন্তত ছ’টি আসন তাদের দিতেই হবে। যেহেতু বাকি ছ’টি আসনে লড়ছে সিপিআই।
[আরও পড়ুন: ‘ধর্ষককে বিয়ে করতে বলিনি’, মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে বলে দাবি প্রধান বিচারপতির]
এদিকে রবিবারই কেটেছে কংগ্রেসের সঙ্গে ডিএমকে জোটের জট। কংগ্রেসের দাবি ছিল অন্তত ৩০টি আসন। কিন্তু স্ট্যালিনের দল সাফ জানিয়ে দেয় ১৮ থেকে ২০টির বেশি আসন তারা কংগ্রেসকে ছাড়বে না। অবশেষে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভাপতি সনিয়া গান্ধীর ফোনে জট কাটে। ঠিক হয়, মোট ২৫টি আসনে লড়বে কংগ্রেস। নয়া চুক্তি অনুযায়ী, ১৮০টি আসনে লড়াই করবে ডিএমকের প্রার্থী। ২৫টি আসনে প্রার্থী দেবে কংগ্রেস। ইন্ডিয়ান মুসলিম লিগ এবং এমএমকের যথাক্রমে ৩ ও ২টি আসন পাবে। তবে ‘সান্ত্বনা’ পুরস্কার পাচ্ছে কংগ্রেস। কন্যাকুমারিকা লোকসভা আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী দিচ্ছে তারা। প্রার্থী দেবে রাজ্যসভার আসনেও।
অন্যদিকে বিশ্লেষকদের মতে, তামিলনাড়ুতে এআইএডিএমকে-বিজেপি জোট কিছুটা ব্যাকফুটেই রয়েছে। রাজ্যের বর্তমান শাসকদলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তো রয়েছেই। পাশাপাশি ‘আম্মা’ ফ্যাক্টর না থাকাটাও মুখ্যমন্ত্রী পালানিস্বামীকে অস্বস্তিতে রাখছে সেটাও স্পষ্ট। এদিকে এরই মধ্যে এআইএডিএমকে-বিজেপি জোট ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছে DMDK। আসন রফায় সন্তুষ্ট না হওয়াতেই অভিনেতা বিজয়কান্তর দল মঙ্গলবার জানিয়ে দিয়েছে তারা ওই জোটে আর থাকবে না।