সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহম্মদ ইউনুসের 'নতুন' বাংলাদেশে (Bangladesh) বদলে গিয়েছে অনুষ্ঠান উদযাপনের রীতিনীতি। হিন্দুত্বের ‘গন্ধ’ থাকায় পয়লা বৈশাখে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র নাম বদলে ফেলা হয়েছে। এবার পুলিশের উপস্থিতিতেই চট্টগ্রামে পয়লা বৈশাখ অনুষ্ঠানের মঞ্চে তাণ্ডব চালাল হাসিনা বিরোধীরা! মূল মঞ্চে হামলা চালিয়ে ব্যানার, ফেস্টুন সব ছিঁড়ে ফেলা হয় বলে অভিযোগ। যার জেরে স্থগিত হয়ে যায় উৎসব উদযাপন। তবে এখনও পর্যন্ত আটক করা হয়েছে ৭ হামলাকারীকে। এই ভাঙচুরের ঘটনায় নাম জড়িয়েছে বিএনপি সমর্থিত এক সংগঠনেরও।

চট্টগ্রামের ডিসি হিল এলাকায় 'সম্মিলিত পয়লা বৈশাখ উদযাপন পরিষদ' নববর্ষ উদযাপনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। সূত্রের খবর, বিএনপি-সমর্থিত জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) ও সমমনা সংগঠনগুলো ডিসি হিলের নববর্ষ উদযাপনের অনুষ্ঠান নিয়ে আপত্তি জানায়। গত দু'দিন ধরে সেখানে সমস্ত আয়োজনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা চলছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার রাতে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন মানুষ মিছিল করে অনুষ্ঠান মঞ্চের কাছে এগিয়ে আসে। অভিযোগ, 'ফ্যাসিস্টদের দোসর হুঁশিয়ার!', 'আওয়ামি লিগের দালালরা সাবধান!' এই ধরনের স্লোগান দেয় তারা। এক পর্যায়ে পুলিশের উপস্থিতিতেই মঞ্চে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা।
যদিও পুলিশের এক আধিকারিকের দাবি, "৩০ থেকে ৪০ জনের একটি দল মূল মঞ্চে হামলার চেষ্টা করে। তবে তারা ব্যর্থ হয়। মঞ্চের আশেপাশের কিছু ব্যানার ও ফেস্টুন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পালিয়ে যাওয়ার সময় সঙ্গে সঙ্গে ৭ জনকে আটক করা হয়। আমরা তাদের রাজনৈতিক পরিচয় যাচাই করছি।" সম্মিলিত পয়লা বৈশাখ উদযাপন পরিষদের সমন্বয়ক সুচরিত দাশ খোকন বলেন, "৩০-৪০ জনের একটি দল মিছিল নিয়ে ফ্যাসিস্ট দোসররা হুঁশিয়ার, আওয়ামি লিগের দালালরা সাবধান স্লোগান দিতে দিতে, পুলিশের সামনেই এসে মঞ্চ ভাঙচুর করে। এই ঘটনার প্রতিবাদে আমরা এবারের পয়লা বৈশাখের সব কর্মসূচি বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।" তিনি আরও বলেন, "এই অনুষ্ঠান আয়োজনের করতে গিয়ে গত দু'দিনে আমরা অনেক প্রতিবন্ধকতা ও নাটকীয়তার সম্মুখীন হয়েছি।" জানা গিয়েছে, ঘটনার প্রতিবাদে আয়োজকরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করে ও স্মারকলিপি জমা দেয়।