সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে মুক্তি পেলেন কেরলের বিতর্কিত সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পান। বুধবার রাতে তাঁর জেল থেকে বেরোনোর কথা থাকলেও যে বিচারক তাঁর মুক্তির নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি বার কাউন্সিলের নির্বাচনে ব্যস্ত ছিলেন। তাই শেষপর্যন্ত বুধবার জেলমুক্তি হয়নি সিদ্দিকের। বৃহস্পতিবার সকালে জেল থেকে বেরলেন তিনি। বন্দি হওয়ার প্রায় ২ বছর বাদে মুক্তি পেলেন ওই বিতর্কিত সাংবাদিক।
সিদ্দিকের জামিন মঞ্জুর হয়েছিল ২০২২ সালের ২৪ ডিসেম্বর। কিন্তু বিভিন্ন আইনি জটিলতা দেখিয়ে প্রায় ৫ সপ্তাহ তাঁকে জেলে বন্দি করে রাখা হয়। অবশেষে বুধবার রাতে সমস্তরকম আইনি জটিলতা মিটে যায়। কিন্তু বিচারক ব্যস্ত থাকায় বুধবারও জেল থেকে বেরোতে পারেননি তিনি। অবশেষে বৃহস্পতিবার জেলমুক্তি হল তাঁর। জেল থেকে বেরিয়েই কাপ্পান অভিযোগ করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ ভুয়ো। কাপ্পানের স্ত্রী রাইহানা বলছেন, “আমাদের লড়াই এখনও শেষ হয়নি। আমি নিশ্চিত মামলাটি আমরা জিতবই।” কাপ্পানের স্ত্রী বলছেন, ছেলেমেয়েরাও তাঁর বাবার পরিচয়ে গর্বিত। ওরা বলছে, আমাদের বাবা একজন সাংবাদিক। এই দেশের হতভাগ্য নাগরিক। যাকে বিনা অপরাধে অন্ধকার কুঠুরিতে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। আমরা গর্বিত।
[আরও পড়ুন: শুধু আবাসন নয়, রাজ্যের আইনের আওতায় ছোট ফ্ল্যাটও! নিয়ম ভাঙলে হাজতবাস প্রোমোটারের]
২০২০ সালের ৫ অক্টোবর গ্রেপ্তার হন মালয়ালাম কাগজের সাংবাদিক কাপ্পান। উত্তরপ্রদেশের হাথরসে ধর্ষিতা এবং নিহত এক দলিত তরুণীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন কাপ্পান। কিন্তু সেখানে পৌঁছনোর আগেই মথুরায় গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। ইউএপিএ (UAPA) আইনে মামলা দায়ের করা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। তাঁর সঙ্গে ধর্মীয় কট্টরপন্থী দল পিএফআই (PFI) এবং নিষিদ্ধ সংগঠন সিমি-র (SIMI) যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। যোগী সরকার কাপ্পানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগ এনেছিল। এছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ এনেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
[আরও পড়ুন: সাগরদিঘি উপনির্বাচনে বামেদের সমর্থন চাইল কংগ্রেস, প্রার্থীর নাম ঘোষণা বিজেপির]
চলতি বছর ৯ সেপ্টেম্বর ইউএপিএ (UAPA) মামলায় জামিন পান কাপ্পান। তবে সেসময় জেল থেকে বেরতে পারেননি তিনি। কারণ তখনও ইডি তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগে তদন্ত করছিল। অবশেষে ইডির দায়ের করা সেই মামলাতে গত ২৪ ডিসেম্বর জামিন পান কেরলের সাংবাদিক। তাঁকে জামিন দেয় এলাহাবাদ হাই কোর্ট। তারপরও জেল থেকে বেরোতে এতদিন লেগে গেল তাঁর।