সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: সুপ্রিম নির্দেশে জট কাটল জোকা-বিবাদীবাগ মেট্রো প্রকল্পের। পাশাপাশি গাছ কাটা নিয়েও বড় নির্দেশ দিল বিচারপতি পিকে মিশ্র এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ। শীর্ষ আদালত সাফ জানাল, কেন্দ্রের পরিবেশ মন্ত্রকের অনুমোদন ছাড়া কলকাতা মেট্রো রেলের কাজের জন্য নতুন করে গাছ কাটা যাবে না। যদিও মেট্রো সম্প্রসারণে ছাড়পত্র দিয়েছে আদালত।
গত ২০ জুন কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশনের বেঞ্চের একটি রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেছিলেন প্রবীণ আইনজীবী জয়দীপ গুপ্ত। সেই রায়ে এদিন স্থগিতাদেশ দিল শীর্ষ আদালত। শুনানিতে প্রবীণ আইনজীবী দাবি করেন, ১০ কিলোমিটার মেট্রো সম্প্রসারণের জন্য ৯৪৩টি গাছ কাটার পরিকল্পনা করা হয়েছে। জয়দীপ বলেন, কোনও কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই বিপুল সংখ্যক গাছ কাটা হচ্ছে। এই বিষয়ে বিবেচনা করতে ব্যর্থ হয়েছে হাইকোর্ট। যদিও পালটা সলিসিটর জেনারেল (এসজি) তুষার মেহতা জানান, বাস্তবে কোনও গাছ পুরোপুরি কেটে ফেলা হয়নি। অন্যত্র প্রতিস্থাপনের জন্য উপড়ে ফেলা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৯৪টি গাছ অন্য জায়গায় লাগানো হয়েছে।এই বিষয়ে আদালত জানায়, ভবিষ্যতে কেন্দ্রের পরিবেশ মন্ত্রকের অনুমোদন ছাড়া মেট্রো সম্প্রসারণের জন্য একটিও গাছ কাটা যাবে না।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর মেট্রো রেলের কাজের জন্য ময়দান এলাকায় গাছ কাটা যাবে না বলে রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি বি আর গাভাই এবং কে ভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, মামলার পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
প্রসঙ্গত, মোমিনপুর থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মেট্রোর কাজের জন্য ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এলাকায় ৭০০ গাছ কাটা পড়তে পারে, এই আশঙ্কা প্রকাশ করে ২০২৩ সালের অক্টোবরে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিল ‘পিপল ইউনাইটেড ফর বেটার লিভিং ইন কলকাতা’ নামে একটি সংগঠন। তাদের বক্তব্য, ময়দান এলাকা শহরের ফুসফুস। সেখানে এত গাছ কাটা হলে পরিবেশের ক্ষতি হবে।