সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৃহস্পতিবার মার্কিন আদালত শিল্পপতি গৌতম আদানির বিরুদ্ধে নয়া অভিযোগ তুলতেই ফের সরব রাহুল গান্ধী। আর সেই সাংবাদিক সম্মেলন চলাকালীন আচমকাই বিদ্যুৎ বিভ্রাট। যাকে কেন্দ্র করে ফের কটাক্ষের আদানপ্রদান কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে।
ঠিক কী হয়েছিল? এদিন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় আচমকাই আলো নিভে যায়। আকস্মিক এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পর কংগ্রেস সাংসদকে সরস ভঙ্গিতে বলতে শোনা যায়, ''আদানি পাওয়ার, মোদি পাওয়ার। জানি না কার পাওয়ার এটা, তবে ওঁরা আসলে একই।''
আর রাহুলের এই মন্তব্যের জবাব দিতেই পালটা সাংবাদিক সম্মেলন করেন সম্বিত পাত্র। তিনি খোঁচা মেরে বলেন, ''রাহুল গান্ধী তিনটি শব্দেরই পুনরাবৃত্তি করে চলেছেন। আদানি, আম্বানি, চোর। আজ ওঁর সাংবাদিক সম্মেলনে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়। আর সেজন্যও তিনি আদানি ও মোদিকে দায়ী করেন। ওটা তাঁরই অফিস, তাঁরই বিদ্যুৎ সংযোগ! আমার মনে হচ্ছে, জয়রাম রমেশ যিনি ওঁর পাশেই বসেছিলেন তিনিই বোধহয় 'যথেষ্ট হয়েছে রাহুল গান্ধী' ভেবে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিলেন।''
প্রসঙ্গত, এদিন রাহুল আদানি ও মোদিকে একযোগে তোপ দেগে বলেন, “আমরা যেটা বলতাম, সেটাই পরিষ্কার হয়ে গেল। আদানিজি মার্কিন ও ভারতীয়-দুই দেশের আইনই ভেঙেছেন। এর পরও কীভাবে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াতে পারছেন? এ দেশে মুখ্যমন্ত্রীরা গ্রেপ্তার হন, আদানি কেন নন? আসলে প্রধানমন্ত্রীও ওঁর সাথে জড়িত।” মোদিকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী আসলে এক হ্যায় তো সেফ হ্যায় মন্ত্রে বিশ্বাসী। ১০-১৫ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রীরা গ্রেপ্তার হন, অথচ ২০০০ কোটির দুর্নীতিতে আদানির কিছু হয় না।” রাহুলের দাবি, আজই আদানিকে গ্রেপ্তার করা উচিত। একই সঙ্গে একপ্রকার চ্যালেঞ্জের সুরে বিরোধী দলনেতা বলে ওঠেন, “২০০০ কোটি টাকার দুর্নীতি। অথচ আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি কোনও তদন্তও হবে না। গ্রেপ্তারিও হবে না।''