shono
Advertisement

Kunal Ghosh: বড়সড় স্বস্তি, সীতার পাতাল প্রবেশ নিয়ে মন্তব্যে ত্রিপুরা আদালতে জামিন পেলেন কুণাল ঘোষ

ব্যক্তিগত ৩০ হাজার টাকা বন্ডের বিনিময়ে মিলল জামিন।
Posted: 12:30 PM May 30, 2022Updated: 01:00 PM May 30, 2022

সন্দীপ চক্রবর্তী: ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান নিয়ে বিরোধিতা করতে গিয়ে সীতার পাতাল প্রবেশের প্রসঙ্গ তুলেছিলেন। আর সেই কারণে হিন্দু ধর্মের অবমাননার অভিযোগে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছিল তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) বিরুদ্ধে। এবার সেই মামলায় বড়সড় স্বস্তি মিলল। তিনটি মামলাতেই ত্রিপুরা (Tripura) আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে সোমবার। এদিন আদালতে তাঁর হাজিরা ছিল। অমরপুর আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুস্মিতা দাস তৃণমূলের মিডিয়া কো-অর্ডিনেটরের জামিন মঞ্জুর করেছেন। ব্যক্তিগত ৩০ হাজার টাকার বন্ডে তিনি জামিন (Bail) পেলেন।

Advertisement

সোমবার ত্রিপুরার গোমতী জেলার অমরপুর আদালতে হাজিরা ছিল কুণাল ঘোষের। তাঁর আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী বলেন, “এই মামলার মধ্যে সারবত্তা নেই। রাজনৈতিক চক্রান্ত ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। সরকারি আইনজীবীর সওয়াল আদালতে গ্রাহ্য হয়নি।” পরে কুণাল ঘোষ নিজেও বলেন, ”আমি তো সীতাকে নিয়ে কোনও অপমানজনক মন্তব্য করিনি। ওদের ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানে ঔদ্ধত্য, হিংসা প্রকাশ পায়। আমি তাই বলেছিলাম, শ্রীরাম তো কখনও হিংসার প্রতিভূ হতে  পারেনন না। তাঁর নামে তোলা স্লোগানে কেন এত হিংসা? তাহলে যখন সীতার পাতাল প্রবেশ হচ্ছিল, তখন কোথায় ছিলেন সব?”

[আরও পড়ুন: মিশন ২০২৪, দুর্বল সংগঠন সামলাতে শাহকে শীর্ষে রেখে বিজেপির ‘টিম বাংলা’]

কিন্তু ঠিক কী কারণে কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে এই মামলা? গত বছর একাধিকবার ত্রিপুরা সফরে যান তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। এক পথসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ”জয় সীতারাম বা সিয়ারাম থেকে বিকৃত করে সীতাকে বাদ দিয়ে শ্রীরাম করা হয়েছে। তার ফলে রামরাজ্যে অপমানিত হয়েছেন সীতা। তাঁকে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় বনবাসে যেতে হয়েছিল। আর সীতার পাতালে প্রবেশ কার্যত আত্মহননের শামিল।” তৃণমূল নেতার এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগ ওঠে। মোট পাঁচটি পৃথক মামলা করে ত্রিপুরা পুলিশ।

[আরও পড়ুন: ভারতীয় হিসেবে নয়া নজির, গুজরাট চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় ইতিহাস গড়লেন আশিস নেহরা]

ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর ১২ নভেম্বর বাগমা ফাঁড়িতে পুলিশের মুখোমুখি হন কুণাল ঘোষ। রামায়ণের বিভিন্ন সংস্করণ এবং গবেষণাপত্র সঙ্গে নিয়ে হাজিরা দেন তিনি। কোনও ধর্মকে আঘাত করার উদ্দেশ্য তাঁর ছিল না বলেই দাবি করেন কুণালবাবু। পাশাপাশি শক্তিশালী যুক্তি দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নস্যাৎ করেন, রামায়ণের কাহিনির সুচিন্তিত ব্যাখ্যাও করেছিলেন তিনি। সেসবের পরিপ্রেক্ষিতেই মামলার সারবত্তা খুঁজে পাননি বিচারক। ফলে জামিন মঞ্জুর করেছেন। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement