সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত বছর মারণ করোনা ভাইরাসের দাপটে বাতিলই করে দেওয়া হয়েছিল মুম্বইয়ের সবথেকে বড় গণেশ পুজো (Ganesh Puja)। তবে এবার ফিরতে চলেছেন লালবাগের রাজা। তবে উদ্বেগজনক করোনা পরিস্থিতিতে বিগত বছরগুলির মতো বিরাট জাঁকজমক করে গণেশ উৎসব পালিত হবে না। কোভিডবিধি মেনেই স্বাগত জানানো হবে লালবাগচা রাজাকে।
অতিমারী আবহে ১১ দিন ব্যাপি চলা এই পুজো গতবছর না করারই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আয়োজকরা। পরিবর্তে জনসেবায় রক্তদান ও প্লাজমা থেরাপির শিবির গড়া হয়েছিল। কিন্তু এবার ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেছে। শক্ত হাতে সংক্রমণ রোখার চেষ্টা করেছে মহারাষ্ট্র সরকারও। আর তাই এবার পুজোর আয়োজন করা হবে বলেই ঠিক হয়েছে। তবে খুব বেশি আড়ম্বরের পথে হাঁটছেন না আয়োজকরা। মহারাষ্ট্রের কোভিডবিধি অনুযায়ী, করোনা পরিস্থিতিতে বারোয়ারি পুজোগুলি ৪ ফুটের গণেশ মূর্তি পুজো করতে পারবে। বাড়ির পুজোর ক্ষেত্রে গণেশের উচ্চতা হবে দু’ফুট। লালবাগচা রাজা গণেশোৎসব কমিটির প্রেসিডেন্ট বালাসাহেব কাম্বলে বলেন, কোভিডবিধি মেনেই এই মণ্ডপেরও গণেশের উচ্চতা হবে ৪ ফুট। সাদামাটাভাবেই হবে পুজো। মানা হবে অন্যান্য নিয়মও।
[আরও পড়ুন: সেনাকে পাথর ছুঁড়লে সরকারি চাকরি,পাসপোর্ট নয়! ‘দেশদ্রোহী’ দমনে কড়া Kashmir প্রশাসন]
প্রতিবছরই ভারতের পশ্চিমের রাজ্যে ধুমধাম করে গণেশ পুজোর আয়োজন করা হয়। বারোয়ারি পুজোগুলি সাধারণত ১১ দিন ধরে চলে। আর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ভিড় জমান এই লালবাগের গণেশ পুজো দেখতে। মণ্ডপসজ্জা, থিম, লাইটিং থেকে বিসর্জন, সবেতেই থাকে নতুনত্বের ছোঁয়া। কিন্তু গত বছরে মানুষের সুরক্ষার কথা ভেবেই পুজোর আয়োজন থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন আয়োজকরা। ৮৪ বছরের পুজোর ইতিহাসে প্রথমবার বন্ধ রাখা হয় ‘লালবাগচা রাজা’ (Lalbaugcha Raja) উৎসব। পরিবর্তে রক্তদান শিবির এবং প্লাজমা থেরাপি ক্যাম্পের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এবার অবশ্য গণপতি ফিরছেন লালবাগে। তবে তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই অতিমারীতে কার্যত নমো নমো করেই হবে পুজো।